তাহাদের কথা কেড়ে নিল

একটু আগে খবর ছিল খবরের মতোই। জানিনা কেন, চ্যানেলগুলো টেবিলে তাহাদের কথা কেড়ে নিল ...
" উল্টো হাঁটার প্র্যাক্টিস ফিরিয়ে দেবে শরতের আকাশ, মেঘের জটলা ,নিরন্ন মানুষের মুখে পায়েসের গন্ধ। রাইস মিলের সামনে এই স্যানিটাইজড গেট, গেটের ভেতর অনেকটা নরক ছিল --- কমন্ডলুর গভীরতায় অসুস্থ মুখও কিছু । চেনা বা না চেনার ভান , ব্যস্ততা , লোকেশন কিনারার পাতি খেল । খোলা সোর্ড , এস্কেপিস্ট ,ডুয়েলের আগে নাইটসুলভ পবিত্র কর্তব্য এস্থলে -- অবস্থান পাল্টানো , লজ্জিত নয়। এও যে এক অনুসন্ধান হয়। চেনা সরণি অল্প তাতে কীভাবে হলুদ হয় , বেলা গড়ালে ডিটেইল দেখে নেওয়া ---আরেকটা সুযোগের পরিসংখ্যান ... ভুলভাল ভাবনায়। তবু সেন্সার বোর্ড আজও চায়ের দোকানে বিড়ি খায় আর মাস্কের অভাবে নাগরিক ঘোড়া ছুটছে ক্রমশ লঘু মাঠে --- কল্পিত এই দৃশ্যটি অনেক কালি ছেটানো দাগ মুছে মুছে একটা নো-রিফিউসাল চত্বরে ঘুমিয়েছে আজ।নিশ্চিন্ত। "
"এখনও নিভে যায়নি কালপুরুষের ছায়া।নেশালাগা আধো ছাদ ছিল সেখানে।কাল বিকেলের পর ওঠেনি আর । ফোটার কথা তো ছিল রোজই রজনীগন্ধারও ।সেলফিতে সূর্যাস্ত , হাসবে সাতটি তারার জানলা । কভারপেজ লাইক করে জেনিফারও শুতে গেছে অনেকক্ষণ।রোমাঞ্চ ওয়াল থেকে দূর টেমসের পাড়ে ছবিগুলো বড় একা হয়ে এলে , বসবো কিছুটা , হাত ধরে ।চেয়ে নেবো অসময়ের দরদাম।শুকনো চেয়ার , বরফের হিম , জোনাকী -নিয়ন প্রশ্রয় বাতিল সব চার্চ খুলে দিলে চামড়ায় গেঁথে যাবে আমাদের এথনিক রং।ফোয়ারার জল ফ্যানা হয়ে সুখ ঢেলে দাও চোখে , নরম ভোরের আদলে । অথচ ,দেখো এখনও ফাঁকা ওপারের হাতনাড়া।"
" সেভাবে সুলভ নয় ওদের আকালের নরকঙ্কাল। চিরটা কাল ঘুমোনোর পর পাশ ফিরবে যে জীবাশ্ম হয়ে, ছাপপড়া পাথরও গুঁড়িয়েছে ওরা ওদেরই জেদে। নিজেদের উঠোনে, বাথরুমে চকচকে মসৃণ ডিজাইনে প্রশ্নচিহ্ন হয়ে ঘুরে যায় ওদের ডি.এন.এ, আর. এন.এর ঝুল, বালি, কাদা --- অথচ ছবিটা মেলেনা। "
"তোর কফিনের পাশে আরও দুটো কফিন আর তার পাশেই আমি শুয়ে আছি। অথচ মর্গে আসার আগে কেবিনে , পাড়াতে আমরা সেই ৮৪ থেকেই প্রতিবেশী। আমাদের বেড়াগুলো পাঁচিল হয়েছে, পাঁচিলের এপারে ওপারে ছিদ্র হয়েছে --- দুটো দেশ হয়নি। অথচ আজ তোর পাশে একটা বর্ডার,তারপাশে আরেকটা --- এতোটা কাঁটাতার, এতোটা আলাদা পতাকা এরা পেলো কোথা থেকে? "