দু-চারলাইন, স্থান-কাল-পাত্রহীন
---------------------------------------------------------------------এবং আমি যেখানে না থাকলেও থেকে যাই, শরীরহীন একপলকে তাকিয়ে, গ্যাসবেলুনের মতো, ফুস ক্ষণিকে অসমতল অস্তিত্বগোপনে, খেলনা সূতোতে বেঁধে, না ঘেরা ছোট ছোট টিলাদের পাশে ---- মুক্তি কিংবা কেটে যাওয়া ঘুড়ির মতো, ভোকাট্টা উৎসবে ফিরে আসা স্রোত ধরে ধরে,নিভে যাওয়া প্রদীপে টাটকা সলতে ফেরি করে ,অমাবস্যার রাতে নামা বৃষ্টির আলো শেষ -- দীপাবলী রাত বরাবর নেমে আসি ধোঁওয়া ওড়া, অন স্টেজ,ডানাওলা রূপকথা মত
এই তো লাফালাম,মাটি মাখলাম চিবুকে আর পাশ থেকে হেসে ওঠা শিয়ালকাঁটা, সোহাগে আদরের মতো ডুবিয়ে দিচ্ছে নখ ---প্যান্টে,ঘাড়ের কোমলে। আকন্দের বোঁটা সাদা কষ --- ডুকরে ওঠা কান্নার চোখে অস্বচ্ছ বুলোলে ম্যাপের ভূগোল ককিয়ে ওঠে বদলের ব্যথাতে।
সোজা সমতল এবড়োখেবড়ো পতাকা --- জাহাজ নোঙর করছি "পাইরেটস অফ দি ক্যারিবিয়ান " রোমাঞ্চে। শ্যুটিংএ তামাটে মাটি,রোদ আর ছায়াদেওয়া তাড়িখানা --- নেশা করে বন্দর হল চারপাশ --- টিলা,খেজুরগাছ,পলাশ, সীমাহীন কর্কশ।জলরেখা টেনে বাড়িয়ে দেবে কান্না হাত,আত্মার সুড়ঙ্গে হাইরোড,ফুল ফুটেছে, হলদে ডিভাইডার।
শিবমন্দিরে সন্ধ্যারতি দেখতে দেখতে বাতাসা পকেটে একছুটে জল খেতে এলাম --- এ ইমেজারি কবিতা হয়ে আকাশ থেকে প্যারাশ্যুট পরে বৃষ্টি নামাতো, রিয়েলের আগে ঘটা অন্য এপিসোডে। দূরে আরও রাত,পাহাড়ে ফুলকি দাবানল।এখানে আলো কমে গন্ধ ধুপ,ধুনো,চন্দন --- উর্ধ্বমুখী সুখ ---- আসন পেতে পোড়ার গল্প জমিয়ে রাখছি নাকে।
সুদীপ ব্যানার্জী,ধণিয়াখালি,হুগলী
1 টি মন্তব্য:
bhalo
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন