তিনটি লেখা...

 প্রচার
---------

প্রত্নতত্ত্ব
সীমারেখা

চিনিয়ে দাও অতীত


খোলা রোদ

জায়গির
স্থাবর অস্থাবর প্রভেদ

বুঝিনি সুর,তাল,লয়
স্ট্রাগল

ফাঁকা রুম ও প্রতিধ্বনিটির ডাক



যান্ত্রিক ত্রুটি 
-----------------

ঘেয়ো বিন্যাস
আমাদের জটলা উপহার
আর
এই বুকে হেঁটে হেঁটে অল্প স্থল পেলে
রিল্যাক্স
ও 
আলোকিত অধ্যায় 
নামগান
ব্যাকগ্রাউন্ড
আখড়া
ভেঙে গ্যালে কেনা যায়



এবং অবলা
-----------------
বিস্তর

মাছ ধরেছে জালে
সমুদ্র

স্রোতের বুকে নদীর মাথা ঠোকা

অন্যরকম

তবে রিনরিন 
ঋণ গান

সব চোখ ফিরে গেলে


   

তাহাদের কথা কেড়ে নিল (TAHADER KOTHA KERE NILO)


তাহাদের কথা কেড়ে নিল 



একটু আগে খবর ছিল খবরের মতোই। জানিনা কেন, চ্যানেলগুলো টেবিলে তাহাদের কথা কেড়ে নিল ...


" উল্টো হাঁটার প্র‍্যাক্টিস  ফিরিয়ে দেবে শরতের আকাশ, মেঘের জটলা ,নিরন্ন মানুষের মুখে পায়েসের গন্ধ। রাইস মিলের সামনে এই স্যানিটাইজড গেট, গেটের ভেতর অনেকটা নরক ছিল   --- কমন্ডলুর গভীরতায়  অসুস্থ মুখও কিছু । চেনা বা না চেনার ভান , ব্যস্ততা , লোকেশন কিনারার পাতি খেল । খোলা সোর্ড , এস্কেপিস্ট ,ডুয়েলের আগে নাইটসুলভ পবিত্র কর্তব্য এস্থলে  -- অবস্থান পাল্টানো , লজ্জিত নয়। এও যে এক অনুসন্ধান হয়। চেনা সরণি অল্প তাতে কীভাবে হলুদ হয় , বেলা গড়ালে ডিটেইল দেখে নেওয়া ---আরেকটা সুযোগের পরিসংখ্যান ... ভুলভাল ভাবনায়। তবু  সেন্সার বোর্ড আজও  চায়ের দোকানে বিড়ি খায়  আর মাস্কের অভাবে নাগরিক ঘোড়া  ছুটছে ক্রমশ লঘু মাঠে --- কল্পিত এই দৃশ্যটি অনেক কালি ছেটানো দাগ মুছে মুছে একটা নো-রিফিউসাল চত্বরে ঘুমিয়েছে আজ।নিশ্চিন্ত। "



"এখনও  নিভে যায়নি কালপুরুষের ছায়া।নেশালাগা আধো ছাদ ছিল সেখানে।কাল  বিকেলের পর ওঠেনি আর ।  ফোটার কথা তো ছিল রোজই রজনীগন্ধারও ।সেলফিতে সূর্যাস্ত , হাসবে সাতটি তারার জানলা । কভারপেজ লাইক করে জেনিফারও শুতে গেছে অনেকক্ষণ।রোমাঞ্চ ওয়াল থেকে দূর টেমসের পাড়ে ছবিগুলো বড় একা হয়ে এলে , বসবো কিছুটা , হাত ধরে ।চেয়ে নেবো অসময়ের দরদাম।শুকনো চেয়ার , বরফের হিম , জোনাকী -নিয়ন প্রশ্রয় বাতিল সব চার্চ খুলে দিলে চামড়ায় গেঁথে যাবে আমাদের এথনিক রং।ফোয়ারার জল ফ্যানা হয়ে সুখ ঢেলে দাও চোখে , নরম ভোরের আদলে । অথচ ,দেখো এখনও ফাঁকা ওপারের হাতনাড়া।"



" সেভাবে সুলভ নয় ওদের আকালের নরকঙ্কাল। চিরটা কাল ঘুমোনোর পর পাশ ফিরবে যে জীবাশ্ম হয়ে, ছাপপড়া পাথরও গুঁড়িয়েছে ওরা ওদেরই জেদে। নিজেদের উঠোনে, বাথরুমে চকচকে মসৃণ ডিজাইনে  প্রশ্নচিহ্ন হয়ে ঘুরে যায় ওদের ডি.এন.এ, আর. এন.এর ঝুল, বালি, কাদা --- অথচ ছবিটা মেলেনা। "



 "তোর কফিনের পাশে আরও দুটো কফিন আর তার পাশেই আমি শুয়ে আছি। অথচ মর্গে আসার আগে কেবিনে , পাড়াতে আমরা সেই ৮৪ থেকেই প্রতিবেশী। আমাদের বেড়াগুলো পাঁচিল হয়েছে, পাঁচিলের এপারে ওপারে ছিদ্র হয়েছে --- দুটো দেশ হয়নি। অথচ আজ তোর পাশে একটা বর্ডার,তারপাশে আরেকটা --- এতোটা কাঁটাতার, এতোটা আলাদা পতাকা এরা পেলো কোথা থেকে? "

সুদীপ ব্যানার্জী


মড়া (The Dead)


                    মড়া (The Dead)

              (ভাবানুবাদ)

(নভেলা - জেমস জয়েসের "THE DEAD")

   কেয়ারটেকারের মেয়ে লিলি হোঁচট খেয়ে প্রায় পড়েই যাচ্ছিল।এই ভদ্রলোককে একতলার অফিসের পিছনে ভাঁড়ারঘর দেখিয়ে দিয়ে তাকে ওভারকোট খুলতে সাহায্য করতে না করতেই--- হলের দরজার ঘন্টা আবার নাভিশ্বাস তুলে বেজে উঠলো।ও আবার ফাঁকা হলঘর পেরিয়ে তাড়াতাড়ি নতুন অতিথিকে ঢুকিয়ে নেবে।একদিক দিয়ে খুব ভাল হয়েছে যে মহিলাদের দেখভালের দায়িত্বও ওর ঘাড়ে পড়েনি।কেট ম্যাডাম আর জুলিয়া ম্যাডাম কিন্তু এটাও ভেবেছিলেন... আর ওপরতলার বাথরুমটাকে মহিলাদের ড্রেসিংরুম করে দিয়েছেন।ওখানেই ওরা আছেন,লোকের কেচ্ছা কেলেঙ্কারি রসিয়ে আলোচনা চলছে,  হাসছেন আর ব্যতিব্যস্ত হয়ে এ ওর পিছু পিছু সিঁড়ির মাথায় উঠে পড়ছেন,রেলিং এর ফাঁক দিয়ে উঁকি মেরে দেখছেন খালিখালি  আর লিলিকে ডেকে পাঠাচ্ছেন কে এলো জানতে।


মিস মর্কানের এই নাচের অনুষ্ঠান মানেই এক বিরাট ব্যাপার।যারা ওদের চেনেন,সবাই আসেন অনুষ্ঠানে --- পরিবারের সদস্যরা, পুরোনো বন্ধুবান্ধব, জুলিয়ার ক্যয়ারের সদস্যরা,কেটের ছাত্রদের মধ্যে কেউ একজন যে বেশ লায়েক হয়ে উঠেছে... এমনকি  মেরি জেনের কিছু ছাত্রছাত্রীও আসে।

    একবারের জন্যও কিন্তু এই অনুষ্ঠান নমো নমো করে হয়নি।বছরের পর বছর ধরে,যদ্দুর মনে পড়ে আর কী , জাঁকজমক করেই হয়েছে --সেই  যবে থেকে কেট আর জুলিয়া তাদের ভাই প্যাট মারা যাওয়ার পর স্টোনি ব্যাটারের বাড়ি ছেড়ে তাদের একমাত্র ভাইঝিকে নিয়ে আসার আইল্যান্ডের এই অন্ধকার নিরিবিলি ঘরটাতে থাকতে এসেছেন।ওপরতলাটা ওরা মি.ফুলহ্যামের কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছেন।একতলায় মি.ফুলহ্যামের চাল,ডাল,গমের ব্যবসা।এও নয় নয় করে প্রায় বছর তিরিশ আগের ঘটনা। মেরি জেন তখন খাটো পোষাক পরা ছোট্ট মেয়েটি ছিল।এখন সেই মেরি জেনই এ পরিবারের হর্তাকর্তা কারণ হ্যাডিংটন রোড চার্চের অর্গানটির মালিক সে।একাডেমিতেও সে গেছে ,বছরে একবার এনসিয়েন্ট কনসার্ট রুমের ওপরের ঘরে কনসার্ট আয়োজনও করে।ওর বেশীরভাগ ছাত্রছাত্রীই কিংগসটাউন আর ডাল্কি লেনের বড়বাড়ির ছেলেমেয়ে।বুড়ি হয়ে গেলেও ওর পিসিরাও যথেষ্ট করেন।জুলিয়ার চুল সব পেকে গেলেও ওই "এডাম এন্ড ইভ" এ মূখ্য বালিকাকন্ঠ। আর কেট খুব দুর্বল,এদিক ওদিক বেশী ঘোরাঘুরি করতে না পারলেও পেছনের ঘরে পুরোনো চৌকো পিয়ানো নিয়ে বাচ্চাদের গান শেখায়।লিলি, ঐ কেয়ারটেকারের মেয়ে,ওদের কাজের লোক।


    ওরা খুব সাধারণ জীবন যাপন করলেও ভালমন্দ খাওয়াদাওয়ায় বিশ্বাস করতো  --সেরা খাবার হাড়অালা গরুর দাবনার মাংস,তিন সিলিং এর চা আর সেরা স্টাউটের বোতল --- চাইই।তবে লিলির কাজে ভুল প্রায় হয়ই না বলা চলে।তাই ওর এই তিন মালকিনের সাথে ভালই ব'নে।শুধু, এরা খুব ব্যস্তবাগীশ । কিন্তু মুখের ওপর কথা বলা একদম সহ্য করে না।অবশ্য এরকম এক রাতে ব্যস্ততার যথেষ্ট কারণ আছে।তার ওপর আবার অনেকক্ষণ হল ১০টা বেজে গেছে, কিন্তু গ্যাব্রিয়েল আর তার গিন্নির এখনও কোনও পাত্তা নেই।তাছাড়া ফ্রেডি ম্যালিন্সকে নিয়েও ওদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই -- সে যদি বেহেড মাতাল হয়ে হাজির হয়।ওরা চাননা এই মাতাল অবস্থায় ওকে ম্যারি জেনের ছাত্রছাত্রীরা দেখে ফেলুক।আর মাতলামি করার সময় ওকে মাঝে মাঝে সামলানোও দায় হয়ে ওঠে।ফ্রেডি ম্যালিন্স তো সবসময়ই দেরী করে,কিন্তু গ্যাব্রিয়েল এখনও কেন এসে পৌঁছাতে পারলো না ভেবে ওরা বেশ অবাক।তাই তো ওরা দুমিনিট পরপর রেলিং এর ধারে এসে লিলির থেকে ফ্রেডি বা গ্যাব্রিয়েল এলো কি না জেনে নিচ্ছেন।
 


   গ্যাব্রিয়েলকে দরজা খুলে দিতে দিতে লিলি বললো, "ও,মি.কনরয়,মিস কেট আর মিস জুলিয়া তো ভাবছিলেন আপনারা আজ আর আসতেই পারবেন না।শুভরাত্রি মিসেস.কনরয়।"।গ্যাব্রিয়েল বললো," আরে ভাববারই কথা।কিন্তু ওনারা ভুলে গেছেন   যে আমার গিন্নি সাজুগুজু করতে  গিয়ে জলজ্যান্ত তিনটে ঘন্টা মেরে ফেলেন।"মাদুরের ওপর দাঁড়িয়ে উনি রবারের জুতোতে লেগে থাকা বরফের কুচি চাঁছতে লাগলেন আর লিলি সিঁড়ির তলায় ওনার স্ত্রীকে নিয়ে গিয়ে চিৎকার করে উঠলো," মিস কেট,মিসেস কনরয় এসেছেন।"



সঙ্গে সঙ্গেই কেট আর জুলিয়া হুড়মুড় করে অন্ধকার সিঁড়ি দিয়ে নেমে এলেন।দুজনেই তাকে চুমু দিলেন,বললেন তিনি বোধহয় মরেই গিয়েছিলেন এদ্দিন আর গ্যাব্রিয়েল তার সাথে এসেছেন কি না জানলেন।"আরে কেট আন্টি, এই তো আমি,পোস্ট করা চিঠির মতোই ঠিক সময়ে এসে গেছি।তোমরা ওপরে যাও।আমিও তোমাদের পেছন পেছন যাচ্ছি।",অন্ধকার থেকে চেঁচিয়ে বলে উঠলেন গ্যাব্রিয়েল। তিন ভদ্রমহিলা সিঁড়ি দিয়ে হাসতে হাসতে মহিলাদের ড্রেসিংরুমের দিকে এগোলেন আর তিনি সজোরে তার জুতো থেকে বরফের কুচি চাঁছতে শুরু করলেন।তার ওভারকোটের কাঁধের কাছে ঝালরের মতো তুষার  হাফকোটের মতো জমে আছে আর তার রবারের জুতোর বুড়ো আঙুলের কাছে বরফ জমে আছে যেন একটা বুড়ো আঙুলের খাপ।

(চলবে)

ভাষান্তর - সুদীপ ব্যানার্জী (৮৯০০৫০০৭৫৫)

অনুবাদ কবিতা (Onubad kobita)

#মূল কবিতা -"What Kind of Times Are These"
কবি - Adrienne Rich

কেমন সময় এলো এখন
-------------------------------------------
দুই সারি গাছের মাঝে একটু ফাঁকা
এখান থেকেই ঘাস গজানোর শুরু চড়াই রাস্তায়
বুড়োটে বিদ্রোহী এই রাস্তাও ফুরোয় গাছের ছায়ায়
কাছেই ফেলে যাওয়া আড্ডাঘর নিগৃহীতদের,
ওরা তো মিলিয়ে গিয়েছিল ঐ ছায়াতেই

খুব ভয়ে ভয়ে ওখানে আমি হেঁটেছি
মাশরুম তুলতে তুলতে
কিন্তু বোকামি করো না
এটা রাশিয়ান কবিতা নয়,
অন্য কোত্থাও না, ঠিক এখানেই
আমার দেশ মুখোমুখি
নিজের তৈরি সত্যি আর ভয়ের
মানুষ গুম করার নিজস্ব কায়দায়

কখনোই বলবো না তোমাকে
জায়গাটা কোথায়,বলবো না নজর এড়িয়ে
কোথায় জঙ্গলের কালচে বেড়া
মিশেছে একফালি আলোতে
কোথায় ভূতুড়ে রাস্তার মোড়, আকাশে পাতা গাঁথা?
আমি জেনে ফেলেছি, কে জায়গাটা কিনতে চায়,
বেচতে চায়,গুম করতে চায়?

তোমাকে কখনই আমি বলবো না সেখানকার কথা
কেনই বা কিছু বলতে যাব?
তোমরা তো শুধুই  শোনো...
এরম এক সময়ে কিচ্ছু শোনাব না তোমাদের
এখন গাছেদের নিয়ে কথা বলা দরকার

অনুবাদ প্রচেষ্টা - সুদীপ ব্যানার্জী

পথছাপ (pathchhap)


   

     পথছাপ (কবিতাগুচ্ছ)

------------
google.com, pub-4286055196262572, DIRECT, f08c47fec0942fa0
                                                                                              




 (১)

উল্টে যাক পথছাপ সিগনাল লাল আলো
শুধু টর্চ হাতে রেখে দূর নিশান তোমাকে
ডেকে নিয়ে চলে যাব লোকহীন আস্তানাতে
ধমকের লালচোখ ভুলে যাও সে ভয়াল

যে রাস্তাটি চেনা ও আধো আধো শুকনো
পড়েনি চাপ চাপ মৃতখেয়ালের রক্ত
তারপাশে মিনার কবেকার আদিপ্রেমের
হেঁটে পেরোনোর জায়গা আমার




    (২)

এসব এখন নেহাতই বাহুপাশ শিথিলে জড়ানো
পেয়ে যত্নের গ্রাফ ছুঁয়েছি বাঁধন আধখোলা
রঙেরই বাহার ভেজানো কাগজে প্রিয়স্থান
চেনাজানা ফ্ল্যাটের কোটর "প্রিয়"লেখে চিঠিতে

কী বলে ডাকবে আমায়
ভেবে ভেবে নিভে যাবে ছায়াদেওয়া রোদ
বাজিয়ে গুনগুন অসুখীর একতারা
পাতালের যানজট রুখে দিও




    (৩)

যে যেদিক থেকেই আসুক ডেকে নিও

হাইরোডের নিরিবিলি সুন্দর
চুপচাপ বসে থাকা,দূরে ঘনঘন হর্ন বাজে
পরপর জুড়ে নিলে সানাই
বিয়ের সময় নহবত বসেছিল
ঝলমলে আলো, গেট,গান
বড্ড হল্লার মাঝে চিনে নেওয়া জীবন

এখানেও রাত নামে,আলোর কারুকার্য
হেডলাইট,হলুদ,সাদা,বর্ণালি খেলে যায়
আমিও নববধূবেশে নিমেষের অপেক্ষায়
সে রাতে যে হাত ধরেছিলো আমি তার বধ্য


   


সুদীপ ব্যানার্জী
মেইল -- sudip.banerjee1080@gmail.com
photo courtesy - Megha Banerjee
                           Internet

টুকরো-টাকরা (TUKRO-TAKRA)

                               

            টুকরো-টাকরা

↭↭↭↭↭↭↭↭↭↭↭↭↭↭↭↭

👹👹👹👹👹👹👹👹👹👹👹👹👹👹👹👹







                               সকাল

                         💓💓💓💓💓💓💓💓💓💓💓💓💓

 একচমক রিমঝিম,...দুবলা,পাতলা খাটো ...প্রথম চশমা ,টলোমলো...হাঁটা শুরু মানে এক কদম হাজার মাইলের আগে...আলগা রোদ,প্রিয় আঁচল...চরাচর বাচ্চা ,কেঁদে যায়...





                       কবিতা

                ↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝

  হেঁয়ালির একলা সখা,দূর পানে কথা ওঠা,জাগ্রত বেঁচে মৃত আঁধারে জ্বেলে জ্বেলে নিঃশ্বাস দেশলাই,বান্ডিল বান্ডিল গলা শোক,জমা আলোক বিশ্বাসে অবিশ্বাস ...চাপচাপ খসে পড়া সেই গাঁথা প্লাস্টার... 


                      ক্যালেন্ডার

↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝

 টাঙানো অবয়ব...ঝুলে থাকা,নড়ে নিয়ে স্থির...চলছে ,কিন্তু চলছে না...   

 


                              হাভেলি

                    ↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝

বসে আছি প্রিয় শুনবো গানের তরিকায় ক্যামন নেমে আসে সকাল প্রাচীন স্ট্রীটের লুপ্ত গরিমা

         পাথরের ফলকে লেখা সন-তারিখের ওঠা কালি ইতিহাস ব্যাকুল করে জাদুঘর খুললে
        লাইনে দাঁড়িয়ে আমিও খদ্দের কবেকার উমরাহজান উমরাহজান তমন্নার কায়াখোলসে

            পেরিয়ে এসো টাঙা ঐ প্রতিবেশী মহল্লার টান উজানের পাড়ে নরম চয়ন

                মৃদু খেলা ভেবে উড়িয়েছো যে অপরূপ গুলমোহরের ছায়া অনায়াসে
     সেখানে বিকেল মিঠে বয়ে বয়ে কিছু প্রজাপতির পোকাবেলার গলা ছুঁয়ে বিলিয়েছে পকেট

             আতরের বিলাসে সুর্মা মুছে গেলে শিখা জ্বলে পরিণত মোমের স্নায়ুতন্ত্রে
            আর ঝাঁকুনির আগে যে কম্পন শুনেছিলো রক্তিম বুক গোলাপের লাজ-লজ্জায়
   
                             গোলা পায়রার সাথে হাভেলিতে সুখে থাক সেও





               ইহকাল  

↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜              

সে বহুকাল মিলিয়ে নেওয়া আপোসহীন মাধবীলতা ...জড়ানো গল্পের শেষে সুবাতাস শোঁকা....কিছু যে নড়েছে ,পর্দার ফাঁক? সুতো ধরে ধরে ঘুড়ির আকাশ ছিনতাই....ঝরে পড়ছি কোমল ফোঁটার মতো...




              বিরহ

↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜

একেকটি পাতা ।হালকা সবুজ থেকে হলুদে মলিন।হাহুতাশে কিছু চামেলী গন্ধ আর পোড়া রোদে চিত সাঁতার । গাছ থেকে খসে গেলে বুজে আসে দিন।


             ক্ষমা

↛↛↛↛↛↛↛↛↛↛↛↛↛↛↛↛↛↛↛↛
দুরন্ত মেহফিল।দুষ্টু চোখ মাতাল মাতাল নেশা করছে।চাদরে ঢেকেছি মুখ।আশেপাশে জানাচেনা মোমবাতি মশাল হতে পারে। 




                      ↝↝↝↝↜↜↜↜↜↜↜↜

  sudip banerjee

google.com, pub-4286055196262572, DIRECT, f08c47fec0942fa0

খোলসের সাতকাহন (kholoser satkahan)

খোলসের সাতকাহন

 ***********************


google.com, pub-4286055196262572, DIRECT, f08c47fec0942fa0

নগন্য করে যেও হাত ধরে সরাসরি। বিকেল ত্যাগ শেখায় আমায়... বিচ্ছেদের কালশিটে মাখা আকাশ কয়েক পোঁচ রক্তে কী অপূর্ব টোকে নিজস্ব ক্যানভাস।গরীব হয়ে যাওয়া বাবা ক্রেডিট কার্ডে পিন নাম্বার সেট করো "অসহায়"... দুনিয়ার সব কনকচাঁপা না ফোটা বসন্তে গেয়ে যাও কুহুলেখা প্ল্যাটফর্ম।স্টিম ইঞ্জিন কেকা বাজাতে বাজাতে বাতাসিয়া লুপ পেরোলে সমতলে ঝরে পড়ে সৌম্য,শান্ত বৌদ্ধস্তুপ...ফুটপাথজোড়া স্নিগ্ধতা...তিব্বতি রিফিউজির মতো ধর্মচক্র ঘোরাতে চাই...ক্লকওয়াইজ ঘুরছে না প্রতিদিন...উল্টোর পথ ঘষটাতে ঘষটাতে রোজ জ্বলছে ৪২ ডিগ্রি সূর্য...মোলায়েম ক্ষত চুলকে ফেললে প্রার্থণা পলিটিক্স... প্রজাপতি ডানা মেলি এ ফুল ও ফুল... শুকনো বুক থেকে মধু ছিনিয়ে নোনতা করে যাই গর্ভাশয়,বিলীন গরিমাতে হাসি খুলে ফেলছে বাগান,অসহায় পিতৃপক্ষ তর্পনে দূষিত করে যায় আদিগঙ্গার ঘোলাটে প্রবাহে...



 এসবের মাঝে ডেকে নাও লজ্জাবতী পাতাদের...ছেঁটে ফেলার এক মেশিন কুচকাওয়াজ করার আগেই ওদের অনুভূতি বন্ধ্যা হয়ে যাক...বখাটে খেয়ালে স্লোগান মেখে নিতে প্যাকেটে পুরে দাও প্রতিবাদী আবির...জলে গুলে আগুন পিচকিরি ছিটিয়ে দাও এ পাতা থেকে ওপাতার সুখ সুখ দাম্পত্যে।আর একটা নতুন ধুন, ধাক্কা খেয়ে পাথরে ভাইরাল হোক প্রতিধ্বনি...শব্দ,সমুদ্র,সময় ভেসে গেলে সমান্তরাল প্রবাহে, পাখি হয়ে যাও সস্তা নুলিয়া টায়ার...বাঁচার সাঁতার ক্র‍্যাশকোর্স করেনি... মেশিনারি বেছেছো জয়গাথা....ক্রমাগত ফাঁকা হতে হতে অফুরন্ত গর্তে দুটো গাছ লাগালে চাতাল...প্রিয় খাটে পা নাচিয়ে এই গরমকাল কেটে যাক...আসছে বর্ষায় রেনকোট বিলি করবো না দায়বদ্ধতা,ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়ছে ডে-ড্রিমিং...নিষ্পাপ দুটো সাদাফুল দেবতার জন্য তুলে রাখা...বাকীসব পতাকা করে মিছিলে নামাবো আমি...       



      google.com, pub-4286055196262572, DIRECT, f08c47fec0942fa0

তিনটি লেখা...