তাহাদের কথা কেড়ে নিল (TAHADER KOTHA KERE NILO)


তাহাদের কথা কেড়ে নিল 



একটু আগে খবর ছিল খবরের মতোই। জানিনা কেন, চ্যানেলগুলো টেবিলে তাহাদের কথা কেড়ে নিল ...


" উল্টো হাঁটার প্র‍্যাক্টিস  ফিরিয়ে দেবে শরতের আকাশ, মেঘের জটলা ,নিরন্ন মানুষের মুখে পায়েসের গন্ধ। রাইস মিলের সামনে এই স্যানিটাইজড গেট, গেটের ভেতর অনেকটা নরক ছিল   --- কমন্ডলুর গভীরতায়  অসুস্থ মুখও কিছু । চেনা বা না চেনার ভান , ব্যস্ততা , লোকেশন কিনারার পাতি খেল । খোলা সোর্ড , এস্কেপিস্ট ,ডুয়েলের আগে নাইটসুলভ পবিত্র কর্তব্য এস্থলে  -- অবস্থান পাল্টানো , লজ্জিত নয়। এও যে এক অনুসন্ধান হয়। চেনা সরণি অল্প তাতে কীভাবে হলুদ হয় , বেলা গড়ালে ডিটেইল দেখে নেওয়া ---আরেকটা সুযোগের পরিসংখ্যান ... ভুলভাল ভাবনায়। তবু  সেন্সার বোর্ড আজও  চায়ের দোকানে বিড়ি খায়  আর মাস্কের অভাবে নাগরিক ঘোড়া  ছুটছে ক্রমশ লঘু মাঠে --- কল্পিত এই দৃশ্যটি অনেক কালি ছেটানো দাগ মুছে মুছে একটা নো-রিফিউসাল চত্বরে ঘুমিয়েছে আজ।নিশ্চিন্ত। "



"এখনও  নিভে যায়নি কালপুরুষের ছায়া।নেশালাগা আধো ছাদ ছিল সেখানে।কাল  বিকেলের পর ওঠেনি আর ।  ফোটার কথা তো ছিল রোজই রজনীগন্ধারও ।সেলফিতে সূর্যাস্ত , হাসবে সাতটি তারার জানলা । কভারপেজ লাইক করে জেনিফারও শুতে গেছে অনেকক্ষণ।রোমাঞ্চ ওয়াল থেকে দূর টেমসের পাড়ে ছবিগুলো বড় একা হয়ে এলে , বসবো কিছুটা , হাত ধরে ।চেয়ে নেবো অসময়ের দরদাম।শুকনো চেয়ার , বরফের হিম , জোনাকী -নিয়ন প্রশ্রয় বাতিল সব চার্চ খুলে দিলে চামড়ায় গেঁথে যাবে আমাদের এথনিক রং।ফোয়ারার জল ফ্যানা হয়ে সুখ ঢেলে দাও চোখে , নরম ভোরের আদলে । অথচ ,দেখো এখনও ফাঁকা ওপারের হাতনাড়া।"



" সেভাবে সুলভ নয় ওদের আকালের নরকঙ্কাল। চিরটা কাল ঘুমোনোর পর পাশ ফিরবে যে জীবাশ্ম হয়ে, ছাপপড়া পাথরও গুঁড়িয়েছে ওরা ওদেরই জেদে। নিজেদের উঠোনে, বাথরুমে চকচকে মসৃণ ডিজাইনে  প্রশ্নচিহ্ন হয়ে ঘুরে যায় ওদের ডি.এন.এ, আর. এন.এর ঝুল, বালি, কাদা --- অথচ ছবিটা মেলেনা। "



 "তোর কফিনের পাশে আরও দুটো কফিন আর তার পাশেই আমি শুয়ে আছি। অথচ মর্গে আসার আগে কেবিনে , পাড়াতে আমরা সেই ৮৪ থেকেই প্রতিবেশী। আমাদের বেড়াগুলো পাঁচিল হয়েছে, পাঁচিলের এপারে ওপারে ছিদ্র হয়েছে --- দুটো দেশ হয়নি। অথচ আজ তোর পাশে একটা বর্ডার,তারপাশে আরেকটা --- এতোটা কাঁটাতার, এতোটা আলাদা পতাকা এরা পেলো কোথা থেকে? "

সুদীপ ব্যানার্জী


মড়া (The Dead)


                    মড়া (The Dead)

              (ভাবানুবাদ)

(নভেলা - জেমস জয়েসের "THE DEAD")

   কেয়ারটেকারের মেয়ে লিলি হোঁচট খেয়ে প্রায় পড়েই যাচ্ছিল।এই ভদ্রলোককে একতলার অফিসের পিছনে ভাঁড়ারঘর দেখিয়ে দিয়ে তাকে ওভারকোট খুলতে সাহায্য করতে না করতেই--- হলের দরজার ঘন্টা আবার নাভিশ্বাস তুলে বেজে উঠলো।ও আবার ফাঁকা হলঘর পেরিয়ে তাড়াতাড়ি নতুন অতিথিকে ঢুকিয়ে নেবে।একদিক দিয়ে খুব ভাল হয়েছে যে মহিলাদের দেখভালের দায়িত্বও ওর ঘাড়ে পড়েনি।কেট ম্যাডাম আর জুলিয়া ম্যাডাম কিন্তু এটাও ভেবেছিলেন... আর ওপরতলার বাথরুমটাকে মহিলাদের ড্রেসিংরুম করে দিয়েছেন।ওখানেই ওরা আছেন,লোকের কেচ্ছা কেলেঙ্কারি রসিয়ে আলোচনা চলছে,  হাসছেন আর ব্যতিব্যস্ত হয়ে এ ওর পিছু পিছু সিঁড়ির মাথায় উঠে পড়ছেন,রেলিং এর ফাঁক দিয়ে উঁকি মেরে দেখছেন খালিখালি  আর লিলিকে ডেকে পাঠাচ্ছেন কে এলো জানতে।


মিস মর্কানের এই নাচের অনুষ্ঠান মানেই এক বিরাট ব্যাপার।যারা ওদের চেনেন,সবাই আসেন অনুষ্ঠানে --- পরিবারের সদস্যরা, পুরোনো বন্ধুবান্ধব, জুলিয়ার ক্যয়ারের সদস্যরা,কেটের ছাত্রদের মধ্যে কেউ একজন যে বেশ লায়েক হয়ে উঠেছে... এমনকি  মেরি জেনের কিছু ছাত্রছাত্রীও আসে।

    একবারের জন্যও কিন্তু এই অনুষ্ঠান নমো নমো করে হয়নি।বছরের পর বছর ধরে,যদ্দুর মনে পড়ে আর কী , জাঁকজমক করেই হয়েছে --সেই  যবে থেকে কেট আর জুলিয়া তাদের ভাই প্যাট মারা যাওয়ার পর স্টোনি ব্যাটারের বাড়ি ছেড়ে তাদের একমাত্র ভাইঝিকে নিয়ে আসার আইল্যান্ডের এই অন্ধকার নিরিবিলি ঘরটাতে থাকতে এসেছেন।ওপরতলাটা ওরা মি.ফুলহ্যামের কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছেন।একতলায় মি.ফুলহ্যামের চাল,ডাল,গমের ব্যবসা।এও নয় নয় করে প্রায় বছর তিরিশ আগের ঘটনা। মেরি জেন তখন খাটো পোষাক পরা ছোট্ট মেয়েটি ছিল।এখন সেই মেরি জেনই এ পরিবারের হর্তাকর্তা কারণ হ্যাডিংটন রোড চার্চের অর্গানটির মালিক সে।একাডেমিতেও সে গেছে ,বছরে একবার এনসিয়েন্ট কনসার্ট রুমের ওপরের ঘরে কনসার্ট আয়োজনও করে।ওর বেশীরভাগ ছাত্রছাত্রীই কিংগসটাউন আর ডাল্কি লেনের বড়বাড়ির ছেলেমেয়ে।বুড়ি হয়ে গেলেও ওর পিসিরাও যথেষ্ট করেন।জুলিয়ার চুল সব পেকে গেলেও ওই "এডাম এন্ড ইভ" এ মূখ্য বালিকাকন্ঠ। আর কেট খুব দুর্বল,এদিক ওদিক বেশী ঘোরাঘুরি করতে না পারলেও পেছনের ঘরে পুরোনো চৌকো পিয়ানো নিয়ে বাচ্চাদের গান শেখায়।লিলি, ঐ কেয়ারটেকারের মেয়ে,ওদের কাজের লোক।


    ওরা খুব সাধারণ জীবন যাপন করলেও ভালমন্দ খাওয়াদাওয়ায় বিশ্বাস করতো  --সেরা খাবার হাড়অালা গরুর দাবনার মাংস,তিন সিলিং এর চা আর সেরা স্টাউটের বোতল --- চাইই।তবে লিলির কাজে ভুল প্রায় হয়ই না বলা চলে।তাই ওর এই তিন মালকিনের সাথে ভালই ব'নে।শুধু, এরা খুব ব্যস্তবাগীশ । কিন্তু মুখের ওপর কথা বলা একদম সহ্য করে না।অবশ্য এরকম এক রাতে ব্যস্ততার যথেষ্ট কারণ আছে।তার ওপর আবার অনেকক্ষণ হল ১০টা বেজে গেছে, কিন্তু গ্যাব্রিয়েল আর তার গিন্নির এখনও কোনও পাত্তা নেই।তাছাড়া ফ্রেডি ম্যালিন্সকে নিয়েও ওদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই -- সে যদি বেহেড মাতাল হয়ে হাজির হয়।ওরা চাননা এই মাতাল অবস্থায় ওকে ম্যারি জেনের ছাত্রছাত্রীরা দেখে ফেলুক।আর মাতলামি করার সময় ওকে মাঝে মাঝে সামলানোও দায় হয়ে ওঠে।ফ্রেডি ম্যালিন্স তো সবসময়ই দেরী করে,কিন্তু গ্যাব্রিয়েল এখনও কেন এসে পৌঁছাতে পারলো না ভেবে ওরা বেশ অবাক।তাই তো ওরা দুমিনিট পরপর রেলিং এর ধারে এসে লিলির থেকে ফ্রেডি বা গ্যাব্রিয়েল এলো কি না জেনে নিচ্ছেন।
 


   গ্যাব্রিয়েলকে দরজা খুলে দিতে দিতে লিলি বললো, "ও,মি.কনরয়,মিস কেট আর মিস জুলিয়া তো ভাবছিলেন আপনারা আজ আর আসতেই পারবেন না।শুভরাত্রি মিসেস.কনরয়।"।গ্যাব্রিয়েল বললো," আরে ভাববারই কথা।কিন্তু ওনারা ভুলে গেছেন   যে আমার গিন্নি সাজুগুজু করতে  গিয়ে জলজ্যান্ত তিনটে ঘন্টা মেরে ফেলেন।"মাদুরের ওপর দাঁড়িয়ে উনি রবারের জুতোতে লেগে থাকা বরফের কুচি চাঁছতে লাগলেন আর লিলি সিঁড়ির তলায় ওনার স্ত্রীকে নিয়ে গিয়ে চিৎকার করে উঠলো," মিস কেট,মিসেস কনরয় এসেছেন।"



সঙ্গে সঙ্গেই কেট আর জুলিয়া হুড়মুড় করে অন্ধকার সিঁড়ি দিয়ে নেমে এলেন।দুজনেই তাকে চুমু দিলেন,বললেন তিনি বোধহয় মরেই গিয়েছিলেন এদ্দিন আর গ্যাব্রিয়েল তার সাথে এসেছেন কি না জানলেন।"আরে কেট আন্টি, এই তো আমি,পোস্ট করা চিঠির মতোই ঠিক সময়ে এসে গেছি।তোমরা ওপরে যাও।আমিও তোমাদের পেছন পেছন যাচ্ছি।",অন্ধকার থেকে চেঁচিয়ে বলে উঠলেন গ্যাব্রিয়েল। তিন ভদ্রমহিলা সিঁড়ি দিয়ে হাসতে হাসতে মহিলাদের ড্রেসিংরুমের দিকে এগোলেন আর তিনি সজোরে তার জুতো থেকে বরফের কুচি চাঁছতে শুরু করলেন।তার ওভারকোটের কাঁধের কাছে ঝালরের মতো তুষার  হাফকোটের মতো জমে আছে আর তার রবারের জুতোর বুড়ো আঙুলের কাছে বরফ জমে আছে যেন একটা বুড়ো আঙুলের খাপ।

(চলবে)

ভাষান্তর - সুদীপ ব্যানার্জী (৮৯০০৫০০৭৫৫)

অনুবাদ কবিতা (Onubad kobita)

#মূল কবিতা -"What Kind of Times Are These"
কবি - Adrienne Rich

কেমন সময় এলো এখন
-------------------------------------------
দুই সারি গাছের মাঝে একটু ফাঁকা
এখান থেকেই ঘাস গজানোর শুরু চড়াই রাস্তায়
বুড়োটে বিদ্রোহী এই রাস্তাও ফুরোয় গাছের ছায়ায়
কাছেই ফেলে যাওয়া আড্ডাঘর নিগৃহীতদের,
ওরা তো মিলিয়ে গিয়েছিল ঐ ছায়াতেই

খুব ভয়ে ভয়ে ওখানে আমি হেঁটেছি
মাশরুম তুলতে তুলতে
কিন্তু বোকামি করো না
এটা রাশিয়ান কবিতা নয়,
অন্য কোত্থাও না, ঠিক এখানেই
আমার দেশ মুখোমুখি
নিজের তৈরি সত্যি আর ভয়ের
মানুষ গুম করার নিজস্ব কায়দায়

কখনোই বলবো না তোমাকে
জায়গাটা কোথায়,বলবো না নজর এড়িয়ে
কোথায় জঙ্গলের কালচে বেড়া
মিশেছে একফালি আলোতে
কোথায় ভূতুড়ে রাস্তার মোড়, আকাশে পাতা গাঁথা?
আমি জেনে ফেলেছি, কে জায়গাটা কিনতে চায়,
বেচতে চায়,গুম করতে চায়?

তোমাকে কখনই আমি বলবো না সেখানকার কথা
কেনই বা কিছু বলতে যাব?
তোমরা তো শুধুই  শোনো...
এরম এক সময়ে কিচ্ছু শোনাব না তোমাদের
এখন গাছেদের নিয়ে কথা বলা দরকার

অনুবাদ প্রচেষ্টা - সুদীপ ব্যানার্জী

পথছাপ (pathchhap)


   

     পথছাপ (কবিতাগুচ্ছ)

------------
google.com, pub-4286055196262572, DIRECT, f08c47fec0942fa0
                                                                                              




 (১)

উল্টে যাক পথছাপ সিগনাল লাল আলো
শুধু টর্চ হাতে রেখে দূর নিশান তোমাকে
ডেকে নিয়ে চলে যাব লোকহীন আস্তানাতে
ধমকের লালচোখ ভুলে যাও সে ভয়াল

যে রাস্তাটি চেনা ও আধো আধো শুকনো
পড়েনি চাপ চাপ মৃতখেয়ালের রক্ত
তারপাশে মিনার কবেকার আদিপ্রেমের
হেঁটে পেরোনোর জায়গা আমার




    (২)

এসব এখন নেহাতই বাহুপাশ শিথিলে জড়ানো
পেয়ে যত্নের গ্রাফ ছুঁয়েছি বাঁধন আধখোলা
রঙেরই বাহার ভেজানো কাগজে প্রিয়স্থান
চেনাজানা ফ্ল্যাটের কোটর "প্রিয়"লেখে চিঠিতে

কী বলে ডাকবে আমায়
ভেবে ভেবে নিভে যাবে ছায়াদেওয়া রোদ
বাজিয়ে গুনগুন অসুখীর একতারা
পাতালের যানজট রুখে দিও




    (৩)

যে যেদিক থেকেই আসুক ডেকে নিও

হাইরোডের নিরিবিলি সুন্দর
চুপচাপ বসে থাকা,দূরে ঘনঘন হর্ন বাজে
পরপর জুড়ে নিলে সানাই
বিয়ের সময় নহবত বসেছিল
ঝলমলে আলো, গেট,গান
বড্ড হল্লার মাঝে চিনে নেওয়া জীবন

এখানেও রাত নামে,আলোর কারুকার্য
হেডলাইট,হলুদ,সাদা,বর্ণালি খেলে যায়
আমিও নববধূবেশে নিমেষের অপেক্ষায়
সে রাতে যে হাত ধরেছিলো আমি তার বধ্য


   


সুদীপ ব্যানার্জী
মেইল -- sudip.banerjee1080@gmail.com
photo courtesy - Megha Banerjee
                           Internet

টুকরো-টাকরা (TUKRO-TAKRA)

                               

            টুকরো-টাকরা

↭↭↭↭↭↭↭↭↭↭↭↭↭↭↭↭

👹👹👹👹👹👹👹👹👹👹👹👹👹👹👹👹







                               সকাল

                         💓💓💓💓💓💓💓💓💓💓💓💓💓

 একচমক রিমঝিম,...দুবলা,পাতলা খাটো ...প্রথম চশমা ,টলোমলো...হাঁটা শুরু মানে এক কদম হাজার মাইলের আগে...আলগা রোদ,প্রিয় আঁচল...চরাচর বাচ্চা ,কেঁদে যায়...





                       কবিতা

                ↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝

  হেঁয়ালির একলা সখা,দূর পানে কথা ওঠা,জাগ্রত বেঁচে মৃত আঁধারে জ্বেলে জ্বেলে নিঃশ্বাস দেশলাই,বান্ডিল বান্ডিল গলা শোক,জমা আলোক বিশ্বাসে অবিশ্বাস ...চাপচাপ খসে পড়া সেই গাঁথা প্লাস্টার... 


                      ক্যালেন্ডার

↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝

 টাঙানো অবয়ব...ঝুলে থাকা,নড়ে নিয়ে স্থির...চলছে ,কিন্তু চলছে না...   

 


                              হাভেলি

                    ↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝

বসে আছি প্রিয় শুনবো গানের তরিকায় ক্যামন নেমে আসে সকাল প্রাচীন স্ট্রীটের লুপ্ত গরিমা

         পাথরের ফলকে লেখা সন-তারিখের ওঠা কালি ইতিহাস ব্যাকুল করে জাদুঘর খুললে
        লাইনে দাঁড়িয়ে আমিও খদ্দের কবেকার উমরাহজান উমরাহজান তমন্নার কায়াখোলসে

            পেরিয়ে এসো টাঙা ঐ প্রতিবেশী মহল্লার টান উজানের পাড়ে নরম চয়ন

                মৃদু খেলা ভেবে উড়িয়েছো যে অপরূপ গুলমোহরের ছায়া অনায়াসে
     সেখানে বিকেল মিঠে বয়ে বয়ে কিছু প্রজাপতির পোকাবেলার গলা ছুঁয়ে বিলিয়েছে পকেট

             আতরের বিলাসে সুর্মা মুছে গেলে শিখা জ্বলে পরিণত মোমের স্নায়ুতন্ত্রে
            আর ঝাঁকুনির আগে যে কম্পন শুনেছিলো রক্তিম বুক গোলাপের লাজ-লজ্জায়
   
                             গোলা পায়রার সাথে হাভেলিতে সুখে থাক সেও





               ইহকাল  

↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜              

সে বহুকাল মিলিয়ে নেওয়া আপোসহীন মাধবীলতা ...জড়ানো গল্পের শেষে সুবাতাস শোঁকা....কিছু যে নড়েছে ,পর্দার ফাঁক? সুতো ধরে ধরে ঘুড়ির আকাশ ছিনতাই....ঝরে পড়ছি কোমল ফোঁটার মতো...




              বিরহ

↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜

একেকটি পাতা ।হালকা সবুজ থেকে হলুদে মলিন।হাহুতাশে কিছু চামেলী গন্ধ আর পোড়া রোদে চিত সাঁতার । গাছ থেকে খসে গেলে বুজে আসে দিন।


             ক্ষমা

↛↛↛↛↛↛↛↛↛↛↛↛↛↛↛↛↛↛↛↛
দুরন্ত মেহফিল।দুষ্টু চোখ মাতাল মাতাল নেশা করছে।চাদরে ঢেকেছি মুখ।আশেপাশে জানাচেনা মোমবাতি মশাল হতে পারে। 




                      ↝↝↝↝↜↜↜↜↜↜↜↜

  sudip banerjee

google.com, pub-4286055196262572, DIRECT, f08c47fec0942fa0

খোলসের সাতকাহন (kholoser satkahan)

খোলসের সাতকাহন

 ***********************


google.com, pub-4286055196262572, DIRECT, f08c47fec0942fa0

নগন্য করে যেও হাত ধরে সরাসরি। বিকেল ত্যাগ শেখায় আমায়... বিচ্ছেদের কালশিটে মাখা আকাশ কয়েক পোঁচ রক্তে কী অপূর্ব টোকে নিজস্ব ক্যানভাস।গরীব হয়ে যাওয়া বাবা ক্রেডিট কার্ডে পিন নাম্বার সেট করো "অসহায়"... দুনিয়ার সব কনকচাঁপা না ফোটা বসন্তে গেয়ে যাও কুহুলেখা প্ল্যাটফর্ম।স্টিম ইঞ্জিন কেকা বাজাতে বাজাতে বাতাসিয়া লুপ পেরোলে সমতলে ঝরে পড়ে সৌম্য,শান্ত বৌদ্ধস্তুপ...ফুটপাথজোড়া স্নিগ্ধতা...তিব্বতি রিফিউজির মতো ধর্মচক্র ঘোরাতে চাই...ক্লকওয়াইজ ঘুরছে না প্রতিদিন...উল্টোর পথ ঘষটাতে ঘষটাতে রোজ জ্বলছে ৪২ ডিগ্রি সূর্য...মোলায়েম ক্ষত চুলকে ফেললে প্রার্থণা পলিটিক্স... প্রজাপতি ডানা মেলি এ ফুল ও ফুল... শুকনো বুক থেকে মধু ছিনিয়ে নোনতা করে যাই গর্ভাশয়,বিলীন গরিমাতে হাসি খুলে ফেলছে বাগান,অসহায় পিতৃপক্ষ তর্পনে দূষিত করে যায় আদিগঙ্গার ঘোলাটে প্রবাহে...



 এসবের মাঝে ডেকে নাও লজ্জাবতী পাতাদের...ছেঁটে ফেলার এক মেশিন কুচকাওয়াজ করার আগেই ওদের অনুভূতি বন্ধ্যা হয়ে যাক...বখাটে খেয়ালে স্লোগান মেখে নিতে প্যাকেটে পুরে দাও প্রতিবাদী আবির...জলে গুলে আগুন পিচকিরি ছিটিয়ে দাও এ পাতা থেকে ওপাতার সুখ সুখ দাম্পত্যে।আর একটা নতুন ধুন, ধাক্কা খেয়ে পাথরে ভাইরাল হোক প্রতিধ্বনি...শব্দ,সমুদ্র,সময় ভেসে গেলে সমান্তরাল প্রবাহে, পাখি হয়ে যাও সস্তা নুলিয়া টায়ার...বাঁচার সাঁতার ক্র‍্যাশকোর্স করেনি... মেশিনারি বেছেছো জয়গাথা....ক্রমাগত ফাঁকা হতে হতে অফুরন্ত গর্তে দুটো গাছ লাগালে চাতাল...প্রিয় খাটে পা নাচিয়ে এই গরমকাল কেটে যাক...আসছে বর্ষায় রেনকোট বিলি করবো না দায়বদ্ধতা,ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়ছে ডে-ড্রিমিং...নিষ্পাপ দুটো সাদাফুল দেবতার জন্য তুলে রাখা...বাকীসব পতাকা করে মিছিলে নামাবো আমি...       



      google.com, pub-4286055196262572, DIRECT, f08c47fec0942fa0

এলেবেলে সিরিজ [ELEBELE SERIES]



    এলেবেলে সিরিজ       

-----------------------------------------------------


              [১]

এইসব অপদার্থ পাখিদের নিয়ে উড়ে যাই

ছবির মতো বা ছায়ায়


পোড়া পালকের গন্ধ, আকাশময়

ছাইমাখা কোনো মিথ জাগেনি

বন্ধখাঁচায় শরণার্থী মানুষ রিপ্লেস করছে ওদের

দাঁড়ে একবাটি জল,কাঁচাছোলা,পেয়ারার টুকরো


মাস্টার, ওদের বুলি শেখাও হে...




                                                                    



  [২]



সেদিন একটা রাত

গলিতে হু হু কান্না

" মাস্টার তুমি 'ভারত এক খোঁজ'পড়েছ?"

"খুঁজেছো কানা দেশে দু-চার পাতা চোখ?"

ঘুম যাও... ঘুম যাও...

ঘুমালাম অন্ধকার গলিতে, অন্তরায়,

উঁচুতে নীচুতে,মুখড়া ধরেছে ধর্ম

ঠিক বিটে বিটে ঠোকা

ছড়া শুনে মাথা দোলাই, শিশুটি দামড়াই


                                                                                                  


       [৩]


বিছানাতে ছিল,উঠে গেছে ডাক শুনে

না,কোনও শরীরের কথা তুলছি না

জানলা বন্ধ,রোদও আসেনি, পোকাও

পাশ ছেড়ে চলে যাওয়া,বারণ করিনা


সাড়া দেওয়া না দেওয়া, বাড়ানো হাত,


এসবে ঘামবে বুক,থামবে দ্রাঘিমা,


স্থির গ্রাফে বিন্দুজুড়ে সুখ নদী হবে,


এসব কবিতা, মাঝরাতে পড়ে কেও


শক্ত চাতালে মাথা ঠোকা,গদ্য সংসার


ঠিক জেনো চালিয়ে নেব, সাইকেলটা


বেশ ছোট থাকতেই শেখা,একা চলা


আশপাশে পেরোলো অনেক সাথে থাকা


উঠে গেলে,না বলে,তবু খালি লাগে তো


চিঠি,সময়,প্রিয় পেনসিল,গোলাপ,


মানুষ চলে যায়,পড়ে থাকে জিনিস,


ধুলো,কান পেতে,টোকা যদি শোনা যায়


যায় সব,ইশারা,চোরাটান,আমিও


বিছানাটি খালি থাকে,এখান ওখান...  



                                                                                                   

[৪]                                                                                           

রইল সব যা ছিল আদরের


শব্দের পাশে বুঁদ এক মিছিল নীরব


শুয়ে থাকি মরে রোজ নদীপারে


দেখেনা দেখেও সওদাগর,আর তার নাও...


যেদিকে সন্ধে নামে, পাখি ফিরে যায়


আলোজ্বালা মাল্লারা গায় লোকগান


তারই পাশে চিতা পোড়ে,জাগ্রত শ্মশান


ঘুরে ফিরে এভাবেই, বাঁচলাম আমরণ


কানে শুনে শুনে, "গুরু, কৃপাহি কেবলম"


                                                                                 


    [৫]

মেলানো হলো না ছবি, ধান,শীষ


কথাঝরা জমিধার,চেনা রোদ


কুলো ঝাড়া,হাসি কমলার, ফিস


হারানো দাশু রায়, অন্নদামঙ্গল



বুঝিনি সেসব কবে চলে গেছে


চিরবিদায়ের বাতিটি নিভিয়ে


চুপিচুপি, চোরাব্যথা না বুঝিয়ে


ইঁট,কাঠ, কংক্রিট এই জঙ্গল


ফ্যানগন্ধ শোঁকা তিনতলা ছাদ


ফসলে সোনালি আমি, চানঘরে 


শরিকি চাতাল,আধো জাগে আল


আদুল গা,পাখি আঁকা জানলায়



                                                                                                 

    [৬]


চারপাশে আলো কমে আসে যখন

একমিনিট চেল্লাই,পেতে চাই

আনাগোনা স্বপ্নে ভরা,উত্তম এক রাত
পেতে চাই আমি এই রাত,ফুলফোটার
স্বাভাবিক ছন্দে না,বরং ঘেরা জমির
বাধ্যবাধকতায়। খন্ডিত আমাকে চাই,
ঘুমের পরতে পরতে
জেগে উঠি আর তারপর আবার
ঘুম ঘুম মায়াজাল মুগ্ধতা
অনিচ্ছুক যত শক্তি চোখের পাতার
কুটো হয়ে ভেসে যায়,সাগরে
বর্ণহীন,না ছোঁওয়া, মহাপ্লাবন
মনের বড় কাছের সে জন
জানলাগুলো খোলাই আজরাতে
হৃদয় রাখা সুদূরে,বিচ্ছিন্ন


                                                                                                     

     google.com, pub-4286055196262572, DIRECT, f08c47fec0942fa0         








সুদীপ ব্যানার্জী

                                             প্রকাশিত গ্রন্থ- তিনপাত্তির তাস [একক]]

                                                          হলুদ বিকেলের রিংটোন [যৌথ]

                                                          এই মুহুর্ত, এই মফঃস্বল [যৌথ]                                                                                                               


                   


google.com, pub-4286055196262572, DIRECT, f08c47fec0942fa0







দু-চারলাইন স্থান-কাল-পাত্রহীন (DU CHAR LINE STHAN KAL PATROHIN)BENGALI PROSE


দু-চারলাইন, স্থান-কাল-পাত্রহীন

---------------------------------------------------------------------




এবং আমি যেখানে না থাকলেও থেকে যাই, শরীরহীন একপলকে তাকিয়ে, গ্যাসবেলুনের মতো, ফুস ক্ষণিকে অসমতল অস্তিত্বগোপনে, খেলনা সূতোতে বেঁধে, না ঘেরা ছোট ছোট টিলাদের পাশে ---- মুক্তি কিংবা কেটে যাওয়া ঘুড়ির মতো, ভোকাট্টা উৎসবে ফিরে আসা স্রোত ধরে ধরে,নিভে যাওয়া প্রদীপে টাটকা সলতে ফেরি করে ,অমাবস্যার রাতে নামা বৃষ্টির আলো শেষ -- দীপাবলী রাত বরাবর নেমে আসি ধোঁওয়া ওড়া, অন স্টেজ,ডানাওলা রূপকথা মত

                         





এই তো লাফালাম,মাটি মাখলাম চিবুকে আর পাশ থেকে হেসে ওঠা শিয়ালকাঁটা, সোহাগে আদরের মতো ডুবিয়ে দিচ্ছে নখ ---প্যান্টে,ঘাড়ের কোমলে। আকন্দের বোঁটা সাদা কষ --- ডুকরে ওঠা কান্নার চোখে অস্বচ্ছ বুলোলে ম্যাপের ভূগোল ককিয়ে ওঠে বদলের ব্যথাতে।









সোজা সমতল এবড়োখেবড়ো পতাকা --- জাহাজ নোঙর করছি "পাইরেটস অফ দি ক্যারিবিয়ান " রোমাঞ্চে। শ্যুটিংএ তামাটে মাটি,রোদ আর ছায়াদেওয়া তাড়িখানা --- নেশা করে বন্দর হল চারপাশ --- টিলা,খেজুরগাছ,পলাশ, সীমাহীন কর্কশ।জলরেখা টেনে বাড়িয়ে দেবে কান্না হাত,আত্মার সুড়ঙ্গে হাইরোড,ফুল ফুটেছে, হলদে ডিভাইডার।


শিবমন্দিরে সন্ধ্যারতি দেখতে দেখতে বাতাসা পকেটে একছুটে জল খেতে এলাম --- এ ইমেজারি কবিতা হয়ে আকাশ থেকে প্যারাশ্যুট পরে বৃষ্টি নামাতো, রিয়েলের আগে ঘটা অন্য এপিসোডে। দূরে আরও রাত,পাহাড়ে ফুলকি দাবানল।এখানে আলো কমে গন্ধ ধুপ,ধুনো,চন্দন --- উর্ধ্বমুখী সুখ ---- আসন পেতে পোড়ার গল্প জমিয়ে রাখছি নাকে।








সুদীপ ব্যানার্জী,ধণিয়াখালি,হুগলী




google.com, pub-4286055196262572, DIRECT, f08c47fec0942fa0

এবার সাত [ebar saat]

                                এবার সাত [ebar saat]





 অভ্যাস  

°°°°°°°°°°

নীরবতার দোহাই দিয়ে
ফাঁকি অভ্যাস হয়ে আছে ঝিলের সব মাছের

সবুজঘাস,দু-পশলা কান্নাজল
আর বাবুঘাটে লঞ্চের বিষন্ন নোঙর
চোখের আরাম

এ কথা বলতে গ্যালেই
এ্যাকোয়ারিয়ামের মাছগুলো 
ক্যামন ঘুমিয়ে পড়ে

খোলাচোখে এভাবেই যদি থাকা যেতো 

এই জেগে আছি আছি মনে হচ্ছে
শুয়ে পড়েছি বইহাতে
স্বপ্নে খুব পড়ছি
অনেক বড় হয়ে গেছি
মাথা দুলিয়ে রিসার্চপেপার পড়ার আগে
হাত মিলিয়ে যাচ্ছে বন্ধুরা
মাধবী একটু বেশীই ফাজিল
কান টেনে ধরছে
নিষ্পলক তন্দ্রা ভাঙছে
বাবা কান ধরে বলছে
"ঘুমোচ্ছিস হতভাগা ৷ 
সে আর এ জন্মে হওয়ার নয়ন 

গোল্ডফিশটাও নড়ছে না
          





অবান্তর

----_--------------_---------

অবান্তর কথারা ঝুলে আছে থোকা থোকা 

নাগালেই

আঙুরক্ষেত আর ক্ষুধার্ত শেয়ালের ব্যবধান

নতুন মলাট 

ঈশপের নীতিমালা
বয়ে যায় প্রিয় গাটার

গোনা শেষ হয়নি আজকের জপমালা






আশংকা


-----------------

আদর ছাড়াই করলাগাছটা বাড়ছে
ভাঙা রোদ।দানের জল আর অনিচ্ছুক মাটি...

হলুদ ফুলে দোলা লাগা নিরপেক্ষ হাওয়ায়

ছোট ফল সবুজে সবুজ

আমার মেয়েও এখন তেরো

আশংকা তাই দ্বিগুন



ঝাপসা 

------------

ফুলগাছ লাগাতে বেশ লাগে
সদ্য চারাপ্রাণ ক্যামন মাটির সাথে জুড়ে যায়
রোদ জল অন্ধকার নিয়ে যৌথপরিবার

এরপর বেড়ে ওঠা আর ছড়িয়ে যাওয়া

এ্যালবাম দেখে স্মৃতি হাতড়াই
"এ তোমার দিল্লীর দাদু,ইনি কলকাতার"





একবার এক্তিয়ার বুঝে নিন

-----------------------------------------

" Good fences make good neighbours."

এক্তিয়ার শিখতে গ্যালে একটা নদী চাই
আর  ঘুমচোখ শহরের বাইপাস

ধরে নাও পাশাপাশি বসে নেই কেউ

তিরতির করে 
হেডলাইটের পর হেডলাইট
ছুঁয়ে ছুঁয়ে পেরিয়ে যাচ্ছে
লাল সিগন্যাল   

বেপরোয়া গতি

পলির মতোই জমে আছে রাস্তা জুড়ে
সংসারের এপার ওপার

সঞ্চয় বলতে এই

গালেহাত রেখে
ঝাপসা সকাল

দেওয়ালে ডিসটেম্পার বুলিয়েও দেওয়া যায়

অথবা

কাঁটাতার 

প্রতিবেশী রাষ্ট্র। বর্ডার।


  

               মেনু

        ---------------------

                 (১)

   রাতভরা খোলস ছাড়াই হিমঘরে
   শপথের বুক ঠুকে
   কান্না ছিনিয়েছে বাজচোখ

   ছোঁ মেরে একচক্কর 
   জীবন লেখো
    মৃতজীবী ঈশ্বর ----------

                   (২)

   ঠিকঠাক মরে গ্যালেই ভাগাড়
   খাবলা খাবলা লাশ পক্ষীরাজের

   আশ মিটিয়ে খাই গাণ্ডেপিণ্ডে
   ডিনারে।চিবিয়েই-----------

               (৩)

   পুষ্টি চ্যাপ্টারটাও ইম্পর্ট্যান্ট
   কিছু ছোটপ্রশ্ন।লাল দাগ।

   বাঁচা অর্ডার করলাম স্টার্টারে -----


  

হাইওয়ের গানগুলি -- 

-----------------------------
     (১)

সহজ নয় হাইওয়ে বরাবর লিখে চলা

তন্দুর থেকে শিকে গেঁথে তুলে ফ্যালা রুটির গল্প

পোড়াদাগগুলো থেকে খুঁটে নেওয়া চিহ্ন 
ফেলে দেওয়া বেশী বেশী ভালবাসাবাসির অপরাধ

ডিভাইডারে রক্তের দাগ 
অ্যাক্সিডেন্টের গূঢ় অর্থ শিখছি

   (২)

খবর হতে চেয়েছে  যবে থেকে
পেপার পড়া ছেড়েছে পেট্রোলপাম্পের পাশের পাড়া

তেল-ডিজেলের গন্ধ থামিয়ে ওখানে এখন জুঁই

শালীন অশালীন মেঘ 
হেডলাইটে পূর্ণিমা নামছে থেমে থেমে

এরম্ প্রান্তরেই উর্বশী নামে 
ধাবার খাটিয়ায় দেশওয়ালি হাভেলি
তৃপ্তির চোঁয়া ঢেকুর তখন 
একটা গোটা ৫০০র নোট



সুদীপ ব্যানার্জী

kebin theke [bengali flash fiction]

 

         

        


                           কেবিন থেকে

                           

                  

                                   সুদীপ ব্যানার্জী


 একটু আগে এই কেবিনে একজন ছিল।এপাশ ওপাশ করলে বেশ শব্দ হয়।ভারি চেহারা।উনি ২০৭ ।আমি ২০৮।মাত্র তো একঘন্টার সকাল।আজ রিমঝিম প্রতিদিনের মতোই এসেছে।পাশের কেবিনে কেউ এসেছিল কি?আসলে চোখ লেগে গিয়েছিল।ভিজিটিং আওয়ার যে শুরু হয়ে গেছে বুঝতে পারিনি।আজ নিয়ে তিনদিন এখানে।সময় কাটতে চায়না।সকালের ভিজিটিং আওয়ার শেষে আবার অপেক্ষা বিকেলের।এরমধ্যে ডাক্তার,নার্স,টেস্ট,মেডিসিন,মাপা খাওয়াদাওয়া আর অসহ্য নীরবতা।পাশের কেবিনে যিনি আছেন ,বোধহয় খুব শরীর খারাপ।পুরুষ না মহিলা জানিনা।তবে নড়াচড়ার শব্দে বুঝি আমার পাশে একটা মানুষ অন্তত আছে।রিমঝিম ছোট্ট টাইমপিস দিয়ে গেছে একটা। ১১টা বাজলেই পাশের কেবিনের ছটফটানি বেড়ে যায়।কেন জানিনা।বিকেলে ভিজিটিং আওয়ার শুরু ৬টায় ।৭-৩০ পর্যন্ত।অফিস থেকে রিমঝিমের আসতে প্রায় ৭টা।পাশের কেবিনে রোজই ভিড় ।পরপর আসেন অনেকে ।বুঝি।আজ এখন ৬টা ১০।পাশের কেবিন চুপচাপ। সাতটা পাঁচ। 'কাল তোমাকে ছেড়ে দেবে।আমার কথা হয়ে গেছে।আফটার টু উইক্স ,একবার চেক-আপ করে নিতে হবে'।এই হল রিমঝিম।সব কিছু গুছিয়ে করতে ভালবাসে।চেপে ধরলাম ওর হাত।গভীর চোখে রিমঝিম আবার শুরু করলো,'আজই ছেড়ে দিতেন তোমায়। নীচে ঝামেলা চলছে পেশেন্টপার্টির সাথে ।তাই আজ রাতে আর ডিসচার্জ করতে চাইছে না।আসলে,তোমার পাশের কেবিনে একটা আনন্যাচারাল ডেথ হয়েছে দুপুরের দিকে।'।




google.com, pub-4286055196262572, DIRECT, f08c47fec0942fa0



সুখটান (sukhtan : a flash fiction)


   


সুখটান


সুদীপ ব্যানার্জী





কাশির দমক চেপে ষষ্ঠীচরণ একবার টোকেনের দিকে তাকালো। পাঁচনম্বর।তিন গ্যাছে।তার মানে আর একজন।বুকপকেটে আরেকবার হাত দিয়ে দেখা হয়ে গেল একশোটাকার নোট ঠিক জায়গায় আছে কি না।এই চুপচাপ পরিবেশে বেয়াড়া কাশি ষষ্টীচরণকে বেশ লজ্জায় ফেলে দিচ্ছে।ঘড়িতে ১১টা।

  ডাক পড়তেই চেম্বারে ঢুকে একটু হেসে "নমস্কার,ডাক্তারবাবু" বলাটা যে খুব সপ্রতিভ হল না, বেশ বুঝেছে ষষ্ঠী। ইশারায় বসতে বলে ডাক্তার এ্যাসিসটেন্টের দিকে তাকালেন।"ষষ্ঠীচরণ দাস।৫৪।",বলে উঠলো সে। মুখে থার্মোমিটার গুঁজে, প্রেসার মাপার যন্ত্রটা বেশ কয়েকবার ফস্ ফস্ করার পর "১২০/৮০" বলে খপ করে থার্মোমিটার টেনে, "৯৭"। তার কাজ শেষ।ডাক্তার এবার খুব মিহি গলায় বললেন," কী সমস্যা, বলুন?"।"কাশি"।"কদিন ধরে চলছে?"।"দিন চারেক।"কী করা হয়?"। "চাষ"।" ও"।"দিনের দিকে বেশী, না রাতের দিকে?"।"রাতের দিকে বাড়ে।"। "ওও...তা স্মোকিং করেন না কি?"।" "আঞ্জে???"।"বিড়ি - সিগারেট কিছু খান?"।"বিড়ি"।"বিড়ি?"।"তা দিনে কটা বিড়ি খান?"।"তা ওই ধরেন ঝুঁটিবিড়ি... একতাড়া।"।"একতাড়ায় কটা বিড়ি থাকে?"।"কটা হবে?ওই গোটা ১০,১২।"। "ও"। এরপর ডাক্তার প্রেস্ক্রিপশন লিখে এ্যাসিসটেন্টের হাতে ধরিয়ে দিলেন।ফিজ্ নিয়ে সে বললো," সাতদিন বাদে আবার দেখিয়ে যাবেন।"

    বাইরে বেরিয়ে সুরজের দোকান থেকে ১০টাকা দিয়ে একবান্ডিল ঝুঁ টিবিড়ি কিনে মোড়ের মাথায় মুক্তি মেডিকেলএ প্রেস্ক্রিপশন জমা দিয়ে দুবার সুখটান দিতে না দিতেই ডাক, "ষষ্ঠীদা"।কাউন্টারে যেতেই প্রেস্ক্রিপশন ফেরত।মুচকি হেসে উত্তর," ডাক্তারবাবু সাতদিন বিড়ি খেয়ে একতাড়ায় কটা বিড়ি থাকে জেনে যেতে বলেছেন।"

সদ্য কেনা বিড়ির প্যাকেট বের করে ষষ্ঠীচরণ দাস গুনতে শুরু করলেন,"এক,দুই,তিন..."।

google.com, pub-4286055196262572, DIRECT, f08c47fec0942fa0

দর্শন বানান ঠিক করুন তারপর বাজার নিয়ে ভাববেন (DORSHON BANAN THHIK KORUN TARPOR BAJAR NIYE VABBEN)



   দর্শন বানান ঠিক করুন তারপর বাজার নিয়ে ভাববেন
------------------------------------------------------------------------------


                        [এক ]


কাঠকুটো  রেখে দাও   শিরশিরে হিম নামতো  বন্ধুর  সাথে সেই সন্ধ্যায়
কুচো খড় ধিকিধিকি গরমে  রাস্তার চেনা  আঁকাবাঁকা  বয়ে 
ছুঁয়ে  রেখেছে দুজোড়া দস্তানা  পরম চাদরের  শীতস্নেহ 
পেলব আংরা  ধরে নাও সেই কাল কী যত্নে রেখেছিলে  বাঁধনের কেয়ারি



এখন সকালের হাতে  নির্ঘন্ট  মিলিয়ে নিতে  নিতে পাশ থেকে প্রজাপতি উড়ে আসে
রঙিন সেলুলয়েড স্ক্রীন থেকে একটা ছোঁয়াচ সাজানো বাগানে  ভিস্যুয়াল  ছড়াছড়ি


কোলাজ জুড়তো  যে ছেলে অপারের অলৌকিক ঢুঁড়ে ঢুঁড়ে 
পেট্রোল আর ডিজেল সন্ধানী  সে 
খনির উপাদান ঘেঁটে  সেই শিল্পী জীবাশ্ম হতে হতে 
চাপা পড়ে পাথরে  শুয়ে থাক ছাপছাপ কল্পনায়



কুয়াশা বুকে ছেলেবেলা বন্ধু নতুন  হয়েছে পাড়ার মোড়ে


          








                 [দুই]

 এই চঞ্চল ভেবে নেওয়া বিকেলে স্থির বলতে আছে কিছু ন্যাড়াগাছ

ঝরে গেছে ভাবো যদি শুধু  সবুজের  ছালছেঁড়া পাতা

 আয়নায় দেখি  শুকিয়ে এসেছে বিলাসী ত্বক

 লোমহীন ক্ষয়  ঘিনঘিন  সময়ে জ্যোতি ছাড়া বিম্ব

ডিসেম্বর  আনে যে  ঋতু  ভয়  পেতো তাকে আমার মৃত মা





              







          [ তিন ]

পিকনিকের দিন টিফিনবাক্সে গোটা সংসার ঢুকে যায়

সংসার মানে ওই আমরা কজন 

খুশি,মুক্তি, এলোমেলো  হাওয়া,গরম কফি

বিত্তবান সময় সেসব 

এখন গরীব অন্তর  মেলা হয় মিলনের

 আমিও কিনেছি হটপট

অনেকক্ষণ গরম থাকে সুখের বাক্সগুলো

   



                   

                                              সুদীপ ব্যানার্জী 
                     

                                                 ধণিয়াখালি                       

google.com, pub-4286055196262572, DIRECT, f08c47fec0942fa0

আপেল খান হে প্রভু [APEL KHAN HE PROVU]


ULOT PURAN .COM

personal Blog 

[ thoughts wonderful or not, need to be shared ...and sharing in your own mother-tongue is the best gift that one can have] 

BLOGGER - SUDIP BANERJEE





আপেল খান হে প্রভু

সুদীপ ব্যানার্জী

       




 

ছিন্ন করে দাও সব বেড়া
আমার চতুর্ভুজ অস্তিত্বে
উড়ন্ত কিছু সীগালের ওঠানামা
বরদাস্ত করবো না জাঁহাপনা

             #

 গ্রেটার করিডরের মনোপলি
 আর পাশের বিল্ডিং এর ডলিকে চিঠি লেখার আগে
 পার্বত্য এলাকা থেকে তুলে আনবো
 কিছু রঙীন মস,প্রজাপতি আর রডোডেনড্রনের রেকমেন্ডেশন


           #

অযথা পাশবালিশে দু পা জড়িয়ে
কিশোর স্বপ্নে  ভুগবো না
শুধু আকাশের দিকে তাকিয়ে
ভ্যাবলা হয়ে ঘুমিয়ে পড়বো কাঁথাস্টিচের বেদনা ভুলতে



         #

চাহিদার দেশে  চেয়ার যে  রিভল্ভিং
গুস্তাকি মাফ হুজুরে-আলা
মধুশালায় এ পরিবর্তন
 সব চেনা সম্রাটেরই কুদরতি করিশ্মা
ন্যাচারাল...খ্যাপায় না...


        #

 কচকচ করে আপেল খান হে রাজন
 শশার গতরে কামড় বসান চুপচাপ
কোনও দপ্তরী ফুটনোটে লিখে রাখবে না
 আপনার সাথে শোওয়া শরীরদের নাম

        #


.আপনি শুধু আম খান
আঁটি গুনবেন না প্রভু

মোসাহেবির কসম,সে দায়িত্ব আমজনতার...




 

 TO READ MORE ...VISIT THE BLOG LINKS

                                                    

google.com, pub-4286055196262572, DIRECT, f08c47fec0942fa0

উল্টে যাওয়ার কিস্যা [ulte jaoar kissa]



             উল্টে যাওয়ার কিস্যা... 

                    সুদীপ ব্যানার্জী







         দুপুরের আয়োজন নামলে এপার থেকে কেমন ঝরে পড়ে ক্যালাইডোস্কোপিক ঝরণার সাথে অফিস,স্কুলবাস,পাঁচতলা শপিং মল ...আইনক্সের ২২ ডিগ্রির আদর।এই যে উল্টে যাওয়া --- বেলা শেষ হওয়ার দিকে ঝুঁকতেই এই যে ছায়া শুরুর আগেই কালারফুল হওয়া---- চাওয়াপাওয়ার পাতি সূর্যমুখীর প্রমোদিয়া খাটি ভেষজ বর্ণালীর বে-নী-আ-স-হ-ক-লার জামদানি ---চোখ নিশপিশ দূরত্বে খানিকটা খামচে নেওয়া আলো  এ ,বেঁচেবর্তে  থাকার গা বাঁচানো আমোদ---- গৃহবাসীর অকাতর এপেটাইট।



    আপাতত মোমবাতি কিনছে জোনাকীর দল ...পশ্চিমে ডুব মেরেছে যেটা আপাত দৃষ্টিতে তাকে স্বচ্ছতা মনে হতেই পারে...তবু  অলৌকিক আলো অন হয়  এসময়..

      মশালের গল্প বলছিনা... অলিম্পিক কুলীন ...ছুটে চলে পেশীবহুল প্লেয়ারি জোয়ারে...জ্বলে ওঠে গর্বের সিক্যুয়ালে...ফেলে আসা বিদ্রোহী গন্ধটি প্রেডিকেট...ওয়াইল্ড-স্টোনের ম্যাচো লুক ... অপরূপ তান ইহজীবনের।তাই সিনোরিটা,গীতা কি সৌগন্ধ, দহলিজে যে প্রদীপের তাপ নিতে ছুটে আসতো রেভোলিউশন,ইলিউশন ,শ্যামাপোকা... আজ হোথা এ ল ই ডি জ্বেলেছি যত্নের ...পরপুরুষের রুমালের মতো দিবানা...

         ফুটপাথে মিছিল...একদল প্রগতির সন্তান...দাও ফিরে সে অরণ্যের স্লোগান ...ঝটিতি শেয়ারে কেয়ারি করা বেগনভোলিয়াঘেরা রিসর্টের ফোমমাখা নরম আদরের চেয়েও সোহাগি...কস্টলি...মোমবাতির দাম তবু বাড়েনা...প্রতিবাদী দামী হাত...ম্যানিকিওর প্যাডিকিওরের মতো ঝকঝকে...দরদামে ঠকেনা...

       রাত গ্রীষ্মের ...গভীর মশারি অন্ধকার...পাতলা সচেতন ফ্যানের ব্লেডে ধাক্কা খেয়ে জ্বলছে  নিভছে রুফটপ...জোনাকির কাটা লাশ...সবুজাভ আলো ওড়বার...





google.com, pub-4286055196262572, DIRECT, f08c47fec0942fa0

ইচ্ছে করে একটা দিন কাটাই কবির সাথে (icchhe kore ekta din katai kobir sathe)





ইচ্ছে করে একটা দিন কাটাই কবির সাথে
----------------------------------------------------------
সুদীপ ব্যানার্জী

চিত্র ঋণ  - ঐশ্বর্য কর





 ইচ্ছে করে সারাটা দিন কাটাবো এক কবির সাথে।কবিতার সাথে দিন কাটাচ্ছি ...তা প্রায় কথা শেখার শুরুর দিন ইস্তক...  চ্যাপ্টারের পর চ্যাপ্টার ... পাতা উল্টোই সুর্য ডোবাওঠার  সাথেই...

                             #

যেদিন অতীত ,বর্তমান বা ভবিষ্যত উস্কে দেয় কল্পনার সিঁদুরকৌ্টো...ছন্দ অপছন্দের গাঁটছড়া বাঁধা পড়ে শব্দের সাথে ... আন্দাজে এক কবির ছবি ভেসে ওঠে  ভাঙাচোরা মনদালানে.. কিন্তু .ছুঁতে পারিনা...

                            #






     এই সেদিনও  সামনের বাড়ির গাছে এক ছোট ,নীলচে পাখি দেখতাম।রোদের গতর বাড়ন্ত হওয়ার আগে কী আশ্চর্য সুরে ডেকে উঠতো সে।প্রথম প্রথম ভাবতাম কবি বোধহয় এরমই।দিনের আলোর যৌবন আর তার রোমাঞ্চের  মাঝে একটুকরো অবাক  নিঃশ্বাস জীবিতের...।সারাদিন কাটিয়েছি ওকে দেখে।দিনের শেষে ওও তো ফিরে গেল বাড়ি।কবির  বাড়ি হয়?ঈশ্বরের বাড়ি লাগে ...কিন্তু কবি বাড়ি ফিরে গেলে রাত কাটবে কিসের ছটায়? ...

                          #

যে কবিতার পাশে রোজ শুই ,ঘুমাই ,প্রশ্ন করি তাকে ,'তোমার সেই কবি মানুষটি কেমন?না কি মানুষই নয়?'...সে উত্তর দেয়না ...মুচকে হেসে ওঠে...সে হাসি হাজার চুনির রহস্য...পান্নার সবুজাভ রাতবাতি...মাঝে মাঝে কবিতা আড় ভাঙে ...সে আড় ভাঙা সদ্যোজাত শিশুর চোখ  চাওয়া,বিশুদ্ধ..










                       #

 মাঝে মাঝে চঞ্চল কবিতা টুকটুকে ঠোঁট কামড়ে উজাড় করে নদীর সব ঢেউ...সাক্ষাত ভেনাস ...অভিমানী সুর 'এতো প্রশ্ন কেন?তুমি কী কিছুই বোঝনা?'...এ হেঁয়ালির আর উত্তর দিই কী?তখন যে প্রতিটি লাইন ধরে কবিকে খুঁজছি..।

                         #

এই জার্নিতে কবিতা ধরা দিচ্ছে...একেকটা অক্ষর মিশে যাচ্ছে চামড়ার প্রতিটি রোঁয়ায়...তবু  কবিকে পাচ্ছিনা।জানিস,খুব ইচ্ছে করে একটা গোটা দিন কাটাই কবির সাথে...


                                 



সুদীপ ব্যানার্জী

google.com, pub-4286055196262572, DIRECT, f08c47fec0942fa0

উইন্ডোশপিং --- window-shopping [a bengali prose]

 

                                  উইন্ডোশপিং

                                       *******************************

   


          কিছুদিন হল বেড়াতে যাওয়ার ইচ্ছা বেশ জাঁকিয়ে বসেছে।অনেকটা সেই শীত ডিসেম্বরের মেঘলা ছেলেবেলা... মালভূমির কুয়াশায় সাততাড়াতাড়ি  কম্বলজড়ানো আদর... ঘরোয়া ওমের আরামের মতো।আদরের কথা উঠলো যখন তখন একটু হাসি মাখামাখি... চুমু খাওয়া খাওয়ি --- ওয়েদারকে ব্লেম করে ,উষ্ণ হয়ে সাবালক হয়ে ওঠার গল্প--- এসব তো আসবেই... অফিস ছুটির মতোই... সন্ধ্যে হলেই।


                   এখন এই অন্ধকারে,এখন এই ত্রিফলা আলোয়,এখন মলের ঝলমলে,কফিশপের আলতো সিপে,নন্দনের  উদ্বোধনে, দেখার কার্টেন রেইসারে ---হাওয়া মেখে বেচে যাওয়া চাখি বেড়ে ওঠা শরতের কাশ,বসন্তের লালচে পলাশ...ডিসেম্বরের  টোবা টোবা চেরী...অঞ্জনের বো-ব্যারাক...স্বপ্নের উইন্ডোশপিং... গালগল্পের মতো ট্যুর অফা্রের...



                  টিভি চালাতেই প্রিয় সিরিয়ালে দুইজোড়া চোখ...স্ক্রিনে আমাদের শুভ দৃষ্টি... ম্যালের উলটো দিকে নির্জনে হাত ধরাধরি ...  পাশে উচ্চতা চাহিদার চেয়েও বিশাল -- আরেকদিকে খাদ---গভীর ... অস্তিত্বের মাপকাঠি --- নেমে গেছে সমতল ছাড়িয়ে বদ্বীপের সীমাবদ্ধ তেকোনা সোসাইটির নির্লোম বাহুমূল অব্দি।আস্তে চেপে ধরছি  হাত... আলগাই...তবু এখনও ছুঁয়ে আছো সেই সেলফির মতো--- এখনও যার প্রিন্ট নেওয়া হয়নি।আলসেমি বলতে পারো...আসলে টাটকা ঐ অনুভূতি ডিলিট করতে চায়নি। পাহাড়,মাঝে বাগান...ফুল ফুটেছে অচেনা গন্ধ আর রঙের জীবন্ত মোজাইকে...ব্যাকগ্রাউন্ডে নেপালি গান আর বাঁশি ...বড্ড বেমানান আমরা ক্যাজুয়াল মিডলক্লাস দম্পতি...সেই অচেনা জোড়ায় জোড়ায় একাকীত্ব,একপাশে মাঝবয়সী কাপল কলকাতার...লন্ডনের বা সিনসিনাটির ...জানিনা ...ইন্টারন্যাশানাল...আরেকপাশে কলেজকাটা কিশোর-কিশোরী...চ্যাপ্টা নাক...ফর্সা লালচে গাল...আমাদের প্রতিচ্ছবি --- একটু শর্ট...সাইজে...এই যা।চেনা চৌহদ্দির চেয়ে ঐ পাহাড়িয়া সময়কেই চিনতে পারা সহজ --- নিজেদের মতো করে ।কানে সেই প্রিয় গান -- 'প্রাণ ভরিয়ে,তৃষা হরিয়ে...মোরে আরও আরও দাও প্রাণ'...প্রিয় গায়িকার কন্ঠ...

       আবার বেরিয়ে পড়ার ইচ্ছে জাগছে ...মাঝরাতে ঘুম ভেঙে আবার ঘুমিয়ে যাওয়ার মতো...

     google.com, pub-4286055196262572, DIRECT, f08c47fec0942fa0     

তিনটি লেখা...