পথছাপ (pathchhap)


   

     পথছাপ (কবিতাগুচ্ছ)

------------
google.com, pub-4286055196262572, DIRECT, f08c47fec0942fa0
                                                                                              




 (১)

উল্টে যাক পথছাপ সিগনাল লাল আলো
শুধু টর্চ হাতে রেখে দূর নিশান তোমাকে
ডেকে নিয়ে চলে যাব লোকহীন আস্তানাতে
ধমকের লালচোখ ভুলে যাও সে ভয়াল

যে রাস্তাটি চেনা ও আধো আধো শুকনো
পড়েনি চাপ চাপ মৃতখেয়ালের রক্ত
তারপাশে মিনার কবেকার আদিপ্রেমের
হেঁটে পেরোনোর জায়গা আমার




    (২)

এসব এখন নেহাতই বাহুপাশ শিথিলে জড়ানো
পেয়ে যত্নের গ্রাফ ছুঁয়েছি বাঁধন আধখোলা
রঙেরই বাহার ভেজানো কাগজে প্রিয়স্থান
চেনাজানা ফ্ল্যাটের কোটর "প্রিয়"লেখে চিঠিতে

কী বলে ডাকবে আমায়
ভেবে ভেবে নিভে যাবে ছায়াদেওয়া রোদ
বাজিয়ে গুনগুন অসুখীর একতারা
পাতালের যানজট রুখে দিও




    (৩)

যে যেদিক থেকেই আসুক ডেকে নিও

হাইরোডের নিরিবিলি সুন্দর
চুপচাপ বসে থাকা,দূরে ঘনঘন হর্ন বাজে
পরপর জুড়ে নিলে সানাই
বিয়ের সময় নহবত বসেছিল
ঝলমলে আলো, গেট,গান
বড্ড হল্লার মাঝে চিনে নেওয়া জীবন

এখানেও রাত নামে,আলোর কারুকার্য
হেডলাইট,হলুদ,সাদা,বর্ণালি খেলে যায়
আমিও নববধূবেশে নিমেষের অপেক্ষায়
সে রাতে যে হাত ধরেছিলো আমি তার বধ্য


   


সুদীপ ব্যানার্জী
মেইল -- sudip.banerjee1080@gmail.com
photo courtesy - Megha Banerjee
                           Internet

টুকরো-টাকরা (TUKRO-TAKRA)

                               

            টুকরো-টাকরা

↭↭↭↭↭↭↭↭↭↭↭↭↭↭↭↭

👹👹👹👹👹👹👹👹👹👹👹👹👹👹👹👹







                               সকাল

                         💓💓💓💓💓💓💓💓💓💓💓💓💓

 একচমক রিমঝিম,...দুবলা,পাতলা খাটো ...প্রথম চশমা ,টলোমলো...হাঁটা শুরু মানে এক কদম হাজার মাইলের আগে...আলগা রোদ,প্রিয় আঁচল...চরাচর বাচ্চা ,কেঁদে যায়...





                       কবিতা

                ↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝

  হেঁয়ালির একলা সখা,দূর পানে কথা ওঠা,জাগ্রত বেঁচে মৃত আঁধারে জ্বেলে জ্বেলে নিঃশ্বাস দেশলাই,বান্ডিল বান্ডিল গলা শোক,জমা আলোক বিশ্বাসে অবিশ্বাস ...চাপচাপ খসে পড়া সেই গাঁথা প্লাস্টার... 


                      ক্যালেন্ডার

↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝

 টাঙানো অবয়ব...ঝুলে থাকা,নড়ে নিয়ে স্থির...চলছে ,কিন্তু চলছে না...   

 


                              হাভেলি

                    ↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝↝

বসে আছি প্রিয় শুনবো গানের তরিকায় ক্যামন নেমে আসে সকাল প্রাচীন স্ট্রীটের লুপ্ত গরিমা

         পাথরের ফলকে লেখা সন-তারিখের ওঠা কালি ইতিহাস ব্যাকুল করে জাদুঘর খুললে
        লাইনে দাঁড়িয়ে আমিও খদ্দের কবেকার উমরাহজান উমরাহজান তমন্নার কায়াখোলসে

            পেরিয়ে এসো টাঙা ঐ প্রতিবেশী মহল্লার টান উজানের পাড়ে নরম চয়ন

                মৃদু খেলা ভেবে উড়িয়েছো যে অপরূপ গুলমোহরের ছায়া অনায়াসে
     সেখানে বিকেল মিঠে বয়ে বয়ে কিছু প্রজাপতির পোকাবেলার গলা ছুঁয়ে বিলিয়েছে পকেট

             আতরের বিলাসে সুর্মা মুছে গেলে শিখা জ্বলে পরিণত মোমের স্নায়ুতন্ত্রে
            আর ঝাঁকুনির আগে যে কম্পন শুনেছিলো রক্তিম বুক গোলাপের লাজ-লজ্জায়
   
                             গোলা পায়রার সাথে হাভেলিতে সুখে থাক সেও





               ইহকাল  

↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜              

সে বহুকাল মিলিয়ে নেওয়া আপোসহীন মাধবীলতা ...জড়ানো গল্পের শেষে সুবাতাস শোঁকা....কিছু যে নড়েছে ,পর্দার ফাঁক? সুতো ধরে ধরে ঘুড়ির আকাশ ছিনতাই....ঝরে পড়ছি কোমল ফোঁটার মতো...




              বিরহ

↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜↜

একেকটি পাতা ।হালকা সবুজ থেকে হলুদে মলিন।হাহুতাশে কিছু চামেলী গন্ধ আর পোড়া রোদে চিত সাঁতার । গাছ থেকে খসে গেলে বুজে আসে দিন।


             ক্ষমা

↛↛↛↛↛↛↛↛↛↛↛↛↛↛↛↛↛↛↛↛
দুরন্ত মেহফিল।দুষ্টু চোখ মাতাল মাতাল নেশা করছে।চাদরে ঢেকেছি মুখ।আশেপাশে জানাচেনা মোমবাতি মশাল হতে পারে। 




                      ↝↝↝↝↜↜↜↜↜↜↜↜

  sudip banerjee

google.com, pub-4286055196262572, DIRECT, f08c47fec0942fa0

খোলসের সাতকাহন (kholoser satkahan)

খোলসের সাতকাহন

 ***********************


google.com, pub-4286055196262572, DIRECT, f08c47fec0942fa0

নগন্য করে যেও হাত ধরে সরাসরি। বিকেল ত্যাগ শেখায় আমায়... বিচ্ছেদের কালশিটে মাখা আকাশ কয়েক পোঁচ রক্তে কী অপূর্ব টোকে নিজস্ব ক্যানভাস।গরীব হয়ে যাওয়া বাবা ক্রেডিট কার্ডে পিন নাম্বার সেট করো "অসহায়"... দুনিয়ার সব কনকচাঁপা না ফোটা বসন্তে গেয়ে যাও কুহুলেখা প্ল্যাটফর্ম।স্টিম ইঞ্জিন কেকা বাজাতে বাজাতে বাতাসিয়া লুপ পেরোলে সমতলে ঝরে পড়ে সৌম্য,শান্ত বৌদ্ধস্তুপ...ফুটপাথজোড়া স্নিগ্ধতা...তিব্বতি রিফিউজির মতো ধর্মচক্র ঘোরাতে চাই...ক্লকওয়াইজ ঘুরছে না প্রতিদিন...উল্টোর পথ ঘষটাতে ঘষটাতে রোজ জ্বলছে ৪২ ডিগ্রি সূর্য...মোলায়েম ক্ষত চুলকে ফেললে প্রার্থণা পলিটিক্স... প্রজাপতি ডানা মেলি এ ফুল ও ফুল... শুকনো বুক থেকে মধু ছিনিয়ে নোনতা করে যাই গর্ভাশয়,বিলীন গরিমাতে হাসি খুলে ফেলছে বাগান,অসহায় পিতৃপক্ষ তর্পনে দূষিত করে যায় আদিগঙ্গার ঘোলাটে প্রবাহে...



 এসবের মাঝে ডেকে নাও লজ্জাবতী পাতাদের...ছেঁটে ফেলার এক মেশিন কুচকাওয়াজ করার আগেই ওদের অনুভূতি বন্ধ্যা হয়ে যাক...বখাটে খেয়ালে স্লোগান মেখে নিতে প্যাকেটে পুরে দাও প্রতিবাদী আবির...জলে গুলে আগুন পিচকিরি ছিটিয়ে দাও এ পাতা থেকে ওপাতার সুখ সুখ দাম্পত্যে।আর একটা নতুন ধুন, ধাক্কা খেয়ে পাথরে ভাইরাল হোক প্রতিধ্বনি...শব্দ,সমুদ্র,সময় ভেসে গেলে সমান্তরাল প্রবাহে, পাখি হয়ে যাও সস্তা নুলিয়া টায়ার...বাঁচার সাঁতার ক্র‍্যাশকোর্স করেনি... মেশিনারি বেছেছো জয়গাথা....ক্রমাগত ফাঁকা হতে হতে অফুরন্ত গর্তে দুটো গাছ লাগালে চাতাল...প্রিয় খাটে পা নাচিয়ে এই গরমকাল কেটে যাক...আসছে বর্ষায় রেনকোট বিলি করবো না দায়বদ্ধতা,ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়ছে ডে-ড্রিমিং...নিষ্পাপ দুটো সাদাফুল দেবতার জন্য তুলে রাখা...বাকীসব পতাকা করে মিছিলে নামাবো আমি...       



      google.com, pub-4286055196262572, DIRECT, f08c47fec0942fa0

এলেবেলে সিরিজ [ELEBELE SERIES]



    এলেবেলে সিরিজ       

-----------------------------------------------------


              [১]

এইসব অপদার্থ পাখিদের নিয়ে উড়ে যাই

ছবির মতো বা ছায়ায়


পোড়া পালকের গন্ধ, আকাশময়

ছাইমাখা কোনো মিথ জাগেনি

বন্ধখাঁচায় শরণার্থী মানুষ রিপ্লেস করছে ওদের

দাঁড়ে একবাটি জল,কাঁচাছোলা,পেয়ারার টুকরো


মাস্টার, ওদের বুলি শেখাও হে...




                                                                    



  [২]



সেদিন একটা রাত

গলিতে হু হু কান্না

" মাস্টার তুমি 'ভারত এক খোঁজ'পড়েছ?"

"খুঁজেছো কানা দেশে দু-চার পাতা চোখ?"

ঘুম যাও... ঘুম যাও...

ঘুমালাম অন্ধকার গলিতে, অন্তরায়,

উঁচুতে নীচুতে,মুখড়া ধরেছে ধর্ম

ঠিক বিটে বিটে ঠোকা

ছড়া শুনে মাথা দোলাই, শিশুটি দামড়াই


                                                                                                  


       [৩]


বিছানাতে ছিল,উঠে গেছে ডাক শুনে

না,কোনও শরীরের কথা তুলছি না

জানলা বন্ধ,রোদও আসেনি, পোকাও

পাশ ছেড়ে চলে যাওয়া,বারণ করিনা


সাড়া দেওয়া না দেওয়া, বাড়ানো হাত,


এসবে ঘামবে বুক,থামবে দ্রাঘিমা,


স্থির গ্রাফে বিন্দুজুড়ে সুখ নদী হবে,


এসব কবিতা, মাঝরাতে পড়ে কেও


শক্ত চাতালে মাথা ঠোকা,গদ্য সংসার


ঠিক জেনো চালিয়ে নেব, সাইকেলটা


বেশ ছোট থাকতেই শেখা,একা চলা


আশপাশে পেরোলো অনেক সাথে থাকা


উঠে গেলে,না বলে,তবু খালি লাগে তো


চিঠি,সময়,প্রিয় পেনসিল,গোলাপ,


মানুষ চলে যায়,পড়ে থাকে জিনিস,


ধুলো,কান পেতে,টোকা যদি শোনা যায়


যায় সব,ইশারা,চোরাটান,আমিও


বিছানাটি খালি থাকে,এখান ওখান...  



                                                                                                   

[৪]                                                                                           

রইল সব যা ছিল আদরের


শব্দের পাশে বুঁদ এক মিছিল নীরব


শুয়ে থাকি মরে রোজ নদীপারে


দেখেনা দেখেও সওদাগর,আর তার নাও...


যেদিকে সন্ধে নামে, পাখি ফিরে যায়


আলোজ্বালা মাল্লারা গায় লোকগান


তারই পাশে চিতা পোড়ে,জাগ্রত শ্মশান


ঘুরে ফিরে এভাবেই, বাঁচলাম আমরণ


কানে শুনে শুনে, "গুরু, কৃপাহি কেবলম"


                                                                                 


    [৫]

মেলানো হলো না ছবি, ধান,শীষ


কথাঝরা জমিধার,চেনা রোদ


কুলো ঝাড়া,হাসি কমলার, ফিস


হারানো দাশু রায়, অন্নদামঙ্গল



বুঝিনি সেসব কবে চলে গেছে


চিরবিদায়ের বাতিটি নিভিয়ে


চুপিচুপি, চোরাব্যথা না বুঝিয়ে


ইঁট,কাঠ, কংক্রিট এই জঙ্গল


ফ্যানগন্ধ শোঁকা তিনতলা ছাদ


ফসলে সোনালি আমি, চানঘরে 


শরিকি চাতাল,আধো জাগে আল


আদুল গা,পাখি আঁকা জানলায়



                                                                                                 

    [৬]


চারপাশে আলো কমে আসে যখন

একমিনিট চেল্লাই,পেতে চাই

আনাগোনা স্বপ্নে ভরা,উত্তম এক রাত
পেতে চাই আমি এই রাত,ফুলফোটার
স্বাভাবিক ছন্দে না,বরং ঘেরা জমির
বাধ্যবাধকতায়। খন্ডিত আমাকে চাই,
ঘুমের পরতে পরতে
জেগে উঠি আর তারপর আবার
ঘুম ঘুম মায়াজাল মুগ্ধতা
অনিচ্ছুক যত শক্তি চোখের পাতার
কুটো হয়ে ভেসে যায়,সাগরে
বর্ণহীন,না ছোঁওয়া, মহাপ্লাবন
মনের বড় কাছের সে জন
জানলাগুলো খোলাই আজরাতে
হৃদয় রাখা সুদূরে,বিচ্ছিন্ন


                                                                                                     

     google.com, pub-4286055196262572, DIRECT, f08c47fec0942fa0         








সুদীপ ব্যানার্জী

                                             প্রকাশিত গ্রন্থ- তিনপাত্তির তাস [একক]]

                                                          হলুদ বিকেলের রিংটোন [যৌথ]

                                                          এই মুহুর্ত, এই মফঃস্বল [যৌথ]                                                                                                               


                   


google.com, pub-4286055196262572, DIRECT, f08c47fec0942fa0







দু-চারলাইন স্থান-কাল-পাত্রহীন (DU CHAR LINE STHAN KAL PATROHIN)BENGALI PROSE


দু-চারলাইন, স্থান-কাল-পাত্রহীন

---------------------------------------------------------------------




এবং আমি যেখানে না থাকলেও থেকে যাই, শরীরহীন একপলকে তাকিয়ে, গ্যাসবেলুনের মতো, ফুস ক্ষণিকে অসমতল অস্তিত্বগোপনে, খেলনা সূতোতে বেঁধে, না ঘেরা ছোট ছোট টিলাদের পাশে ---- মুক্তি কিংবা কেটে যাওয়া ঘুড়ির মতো, ভোকাট্টা উৎসবে ফিরে আসা স্রোত ধরে ধরে,নিভে যাওয়া প্রদীপে টাটকা সলতে ফেরি করে ,অমাবস্যার রাতে নামা বৃষ্টির আলো শেষ -- দীপাবলী রাত বরাবর নেমে আসি ধোঁওয়া ওড়া, অন স্টেজ,ডানাওলা রূপকথা মত

                         





এই তো লাফালাম,মাটি মাখলাম চিবুকে আর পাশ থেকে হেসে ওঠা শিয়ালকাঁটা, সোহাগে আদরের মতো ডুবিয়ে দিচ্ছে নখ ---প্যান্টে,ঘাড়ের কোমলে। আকন্দের বোঁটা সাদা কষ --- ডুকরে ওঠা কান্নার চোখে অস্বচ্ছ বুলোলে ম্যাপের ভূগোল ককিয়ে ওঠে বদলের ব্যথাতে।









সোজা সমতল এবড়োখেবড়ো পতাকা --- জাহাজ নোঙর করছি "পাইরেটস অফ দি ক্যারিবিয়ান " রোমাঞ্চে। শ্যুটিংএ তামাটে মাটি,রোদ আর ছায়াদেওয়া তাড়িখানা --- নেশা করে বন্দর হল চারপাশ --- টিলা,খেজুরগাছ,পলাশ, সীমাহীন কর্কশ।জলরেখা টেনে বাড়িয়ে দেবে কান্না হাত,আত্মার সুড়ঙ্গে হাইরোড,ফুল ফুটেছে, হলদে ডিভাইডার।


শিবমন্দিরে সন্ধ্যারতি দেখতে দেখতে বাতাসা পকেটে একছুটে জল খেতে এলাম --- এ ইমেজারি কবিতা হয়ে আকাশ থেকে প্যারাশ্যুট পরে বৃষ্টি নামাতো, রিয়েলের আগে ঘটা অন্য এপিসোডে। দূরে আরও রাত,পাহাড়ে ফুলকি দাবানল।এখানে আলো কমে গন্ধ ধুপ,ধুনো,চন্দন --- উর্ধ্বমুখী সুখ ---- আসন পেতে পোড়ার গল্প জমিয়ে রাখছি নাকে।








সুদীপ ব্যানার্জী,ধণিয়াখালি,হুগলী




google.com, pub-4286055196262572, DIRECT, f08c47fec0942fa0

এবার সাত [ebar saat]

                                এবার সাত [ebar saat]





 অভ্যাস  

°°°°°°°°°°

নীরবতার দোহাই দিয়ে
ফাঁকি অভ্যাস হয়ে আছে ঝিলের সব মাছের

সবুজঘাস,দু-পশলা কান্নাজল
আর বাবুঘাটে লঞ্চের বিষন্ন নোঙর
চোখের আরাম

এ কথা বলতে গ্যালেই
এ্যাকোয়ারিয়ামের মাছগুলো 
ক্যামন ঘুমিয়ে পড়ে

খোলাচোখে এভাবেই যদি থাকা যেতো 

এই জেগে আছি আছি মনে হচ্ছে
শুয়ে পড়েছি বইহাতে
স্বপ্নে খুব পড়ছি
অনেক বড় হয়ে গেছি
মাথা দুলিয়ে রিসার্চপেপার পড়ার আগে
হাত মিলিয়ে যাচ্ছে বন্ধুরা
মাধবী একটু বেশীই ফাজিল
কান টেনে ধরছে
নিষ্পলক তন্দ্রা ভাঙছে
বাবা কান ধরে বলছে
"ঘুমোচ্ছিস হতভাগা ৷ 
সে আর এ জন্মে হওয়ার নয়ন 

গোল্ডফিশটাও নড়ছে না
          





অবান্তর

----_--------------_---------

অবান্তর কথারা ঝুলে আছে থোকা থোকা 

নাগালেই

আঙুরক্ষেত আর ক্ষুধার্ত শেয়ালের ব্যবধান

নতুন মলাট 

ঈশপের নীতিমালা
বয়ে যায় প্রিয় গাটার

গোনা শেষ হয়নি আজকের জপমালা






আশংকা


-----------------

আদর ছাড়াই করলাগাছটা বাড়ছে
ভাঙা রোদ।দানের জল আর অনিচ্ছুক মাটি...

হলুদ ফুলে দোলা লাগা নিরপেক্ষ হাওয়ায়

ছোট ফল সবুজে সবুজ

আমার মেয়েও এখন তেরো

আশংকা তাই দ্বিগুন



ঝাপসা 

------------

ফুলগাছ লাগাতে বেশ লাগে
সদ্য চারাপ্রাণ ক্যামন মাটির সাথে জুড়ে যায়
রোদ জল অন্ধকার নিয়ে যৌথপরিবার

এরপর বেড়ে ওঠা আর ছড়িয়ে যাওয়া

এ্যালবাম দেখে স্মৃতি হাতড়াই
"এ তোমার দিল্লীর দাদু,ইনি কলকাতার"





একবার এক্তিয়ার বুঝে নিন

-----------------------------------------

" Good fences make good neighbours."

এক্তিয়ার শিখতে গ্যালে একটা নদী চাই
আর  ঘুমচোখ শহরের বাইপাস

ধরে নাও পাশাপাশি বসে নেই কেউ

তিরতির করে 
হেডলাইটের পর হেডলাইট
ছুঁয়ে ছুঁয়ে পেরিয়ে যাচ্ছে
লাল সিগন্যাল   

বেপরোয়া গতি

পলির মতোই জমে আছে রাস্তা জুড়ে
সংসারের এপার ওপার

সঞ্চয় বলতে এই

গালেহাত রেখে
ঝাপসা সকাল

দেওয়ালে ডিসটেম্পার বুলিয়েও দেওয়া যায়

অথবা

কাঁটাতার 

প্রতিবেশী রাষ্ট্র। বর্ডার।


  

               মেনু

        ---------------------

                 (১)

   রাতভরা খোলস ছাড়াই হিমঘরে
   শপথের বুক ঠুকে
   কান্না ছিনিয়েছে বাজচোখ

   ছোঁ মেরে একচক্কর 
   জীবন লেখো
    মৃতজীবী ঈশ্বর ----------

                   (২)

   ঠিকঠাক মরে গ্যালেই ভাগাড়
   খাবলা খাবলা লাশ পক্ষীরাজের

   আশ মিটিয়ে খাই গাণ্ডেপিণ্ডে
   ডিনারে।চিবিয়েই-----------

               (৩)

   পুষ্টি চ্যাপ্টারটাও ইম্পর্ট্যান্ট
   কিছু ছোটপ্রশ্ন।লাল দাগ।

   বাঁচা অর্ডার করলাম স্টার্টারে -----


  

হাইওয়ের গানগুলি -- 

-----------------------------
     (১)

সহজ নয় হাইওয়ে বরাবর লিখে চলা

তন্দুর থেকে শিকে গেঁথে তুলে ফ্যালা রুটির গল্প

পোড়াদাগগুলো থেকে খুঁটে নেওয়া চিহ্ন 
ফেলে দেওয়া বেশী বেশী ভালবাসাবাসির অপরাধ

ডিভাইডারে রক্তের দাগ 
অ্যাক্সিডেন্টের গূঢ় অর্থ শিখছি

   (২)

খবর হতে চেয়েছে  যবে থেকে
পেপার পড়া ছেড়েছে পেট্রোলপাম্পের পাশের পাড়া

তেল-ডিজেলের গন্ধ থামিয়ে ওখানে এখন জুঁই

শালীন অশালীন মেঘ 
হেডলাইটে পূর্ণিমা নামছে থেমে থেমে

এরম্ প্রান্তরেই উর্বশী নামে 
ধাবার খাটিয়ায় দেশওয়ালি হাভেলি
তৃপ্তির চোঁয়া ঢেকুর তখন 
একটা গোটা ৫০০র নোট



সুদীপ ব্যানার্জী

kebin theke [bengali flash fiction]

 

         

        


                           কেবিন থেকে

                           

                  

                                   সুদীপ ব্যানার্জী


 একটু আগে এই কেবিনে একজন ছিল।এপাশ ওপাশ করলে বেশ শব্দ হয়।ভারি চেহারা।উনি ২০৭ ।আমি ২০৮।মাত্র তো একঘন্টার সকাল।আজ রিমঝিম প্রতিদিনের মতোই এসেছে।পাশের কেবিনে কেউ এসেছিল কি?আসলে চোখ লেগে গিয়েছিল।ভিজিটিং আওয়ার যে শুরু হয়ে গেছে বুঝতে পারিনি।আজ নিয়ে তিনদিন এখানে।সময় কাটতে চায়না।সকালের ভিজিটিং আওয়ার শেষে আবার অপেক্ষা বিকেলের।এরমধ্যে ডাক্তার,নার্স,টেস্ট,মেডিসিন,মাপা খাওয়াদাওয়া আর অসহ্য নীরবতা।পাশের কেবিনে যিনি আছেন ,বোধহয় খুব শরীর খারাপ।পুরুষ না মহিলা জানিনা।তবে নড়াচড়ার শব্দে বুঝি আমার পাশে একটা মানুষ অন্তত আছে।রিমঝিম ছোট্ট টাইমপিস দিয়ে গেছে একটা। ১১টা বাজলেই পাশের কেবিনের ছটফটানি বেড়ে যায়।কেন জানিনা।বিকেলে ভিজিটিং আওয়ার শুরু ৬টায় ।৭-৩০ পর্যন্ত।অফিস থেকে রিমঝিমের আসতে প্রায় ৭টা।পাশের কেবিনে রোজই ভিড় ।পরপর আসেন অনেকে ।বুঝি।আজ এখন ৬টা ১০।পাশের কেবিন চুপচাপ। সাতটা পাঁচ। 'কাল তোমাকে ছেড়ে দেবে।আমার কথা হয়ে গেছে।আফটার টু উইক্স ,একবার চেক-আপ করে নিতে হবে'।এই হল রিমঝিম।সব কিছু গুছিয়ে করতে ভালবাসে।চেপে ধরলাম ওর হাত।গভীর চোখে রিমঝিম আবার শুরু করলো,'আজই ছেড়ে দিতেন তোমায়। নীচে ঝামেলা চলছে পেশেন্টপার্টির সাথে ।তাই আজ রাতে আর ডিসচার্জ করতে চাইছে না।আসলে,তোমার পাশের কেবিনে একটা আনন্যাচারাল ডেথ হয়েছে দুপুরের দিকে।'।




google.com, pub-4286055196262572, DIRECT, f08c47fec0942fa0



সুখটান (sukhtan : a flash fiction)


   


সুখটান


সুদীপ ব্যানার্জী





কাশির দমক চেপে ষষ্ঠীচরণ একবার টোকেনের দিকে তাকালো। পাঁচনম্বর।তিন গ্যাছে।তার মানে আর একজন।বুকপকেটে আরেকবার হাত দিয়ে দেখা হয়ে গেল একশোটাকার নোট ঠিক জায়গায় আছে কি না।এই চুপচাপ পরিবেশে বেয়াড়া কাশি ষষ্টীচরণকে বেশ লজ্জায় ফেলে দিচ্ছে।ঘড়িতে ১১টা।

  ডাক পড়তেই চেম্বারে ঢুকে একটু হেসে "নমস্কার,ডাক্তারবাবু" বলাটা যে খুব সপ্রতিভ হল না, বেশ বুঝেছে ষষ্ঠী। ইশারায় বসতে বলে ডাক্তার এ্যাসিসটেন্টের দিকে তাকালেন।"ষষ্ঠীচরণ দাস।৫৪।",বলে উঠলো সে। মুখে থার্মোমিটার গুঁজে, প্রেসার মাপার যন্ত্রটা বেশ কয়েকবার ফস্ ফস্ করার পর "১২০/৮০" বলে খপ করে থার্মোমিটার টেনে, "৯৭"। তার কাজ শেষ।ডাক্তার এবার খুব মিহি গলায় বললেন," কী সমস্যা, বলুন?"।"কাশি"।"কদিন ধরে চলছে?"।"দিন চারেক।"কী করা হয়?"। "চাষ"।" ও"।"দিনের দিকে বেশী, না রাতের দিকে?"।"রাতের দিকে বাড়ে।"। "ওও...তা স্মোকিং করেন না কি?"।" "আঞ্জে???"।"বিড়ি - সিগারেট কিছু খান?"।"বিড়ি"।"বিড়ি?"।"তা দিনে কটা বিড়ি খান?"।"তা ওই ধরেন ঝুঁটিবিড়ি... একতাড়া।"।"একতাড়ায় কটা বিড়ি থাকে?"।"কটা হবে?ওই গোটা ১০,১২।"। "ও"। এরপর ডাক্তার প্রেস্ক্রিপশন লিখে এ্যাসিসটেন্টের হাতে ধরিয়ে দিলেন।ফিজ্ নিয়ে সে বললো," সাতদিন বাদে আবার দেখিয়ে যাবেন।"

    বাইরে বেরিয়ে সুরজের দোকান থেকে ১০টাকা দিয়ে একবান্ডিল ঝুঁ টিবিড়ি কিনে মোড়ের মাথায় মুক্তি মেডিকেলএ প্রেস্ক্রিপশন জমা দিয়ে দুবার সুখটান দিতে না দিতেই ডাক, "ষষ্ঠীদা"।কাউন্টারে যেতেই প্রেস্ক্রিপশন ফেরত।মুচকি হেসে উত্তর," ডাক্তারবাবু সাতদিন বিড়ি খেয়ে একতাড়ায় কটা বিড়ি থাকে জেনে যেতে বলেছেন।"

সদ্য কেনা বিড়ির প্যাকেট বের করে ষষ্ঠীচরণ দাস গুনতে শুরু করলেন,"এক,দুই,তিন..."।

google.com, pub-4286055196262572, DIRECT, f08c47fec0942fa0

দর্শন বানান ঠিক করুন তারপর বাজার নিয়ে ভাববেন (DORSHON BANAN THHIK KORUN TARPOR BAJAR NIYE VABBEN)



   দর্শন বানান ঠিক করুন তারপর বাজার নিয়ে ভাববেন
------------------------------------------------------------------------------


                        [এক ]


কাঠকুটো  রেখে দাও   শিরশিরে হিম নামতো  বন্ধুর  সাথে সেই সন্ধ্যায়
কুচো খড় ধিকিধিকি গরমে  রাস্তার চেনা  আঁকাবাঁকা  বয়ে 
ছুঁয়ে  রেখেছে দুজোড়া দস্তানা  পরম চাদরের  শীতস্নেহ 
পেলব আংরা  ধরে নাও সেই কাল কী যত্নে রেখেছিলে  বাঁধনের কেয়ারি



এখন সকালের হাতে  নির্ঘন্ট  মিলিয়ে নিতে  নিতে পাশ থেকে প্রজাপতি উড়ে আসে
রঙিন সেলুলয়েড স্ক্রীন থেকে একটা ছোঁয়াচ সাজানো বাগানে  ভিস্যুয়াল  ছড়াছড়ি


কোলাজ জুড়তো  যে ছেলে অপারের অলৌকিক ঢুঁড়ে ঢুঁড়ে 
পেট্রোল আর ডিজেল সন্ধানী  সে 
খনির উপাদান ঘেঁটে  সেই শিল্পী জীবাশ্ম হতে হতে 
চাপা পড়ে পাথরে  শুয়ে থাক ছাপছাপ কল্পনায়



কুয়াশা বুকে ছেলেবেলা বন্ধু নতুন  হয়েছে পাড়ার মোড়ে


          








                 [দুই]

 এই চঞ্চল ভেবে নেওয়া বিকেলে স্থির বলতে আছে কিছু ন্যাড়াগাছ

ঝরে গেছে ভাবো যদি শুধু  সবুজের  ছালছেঁড়া পাতা

 আয়নায় দেখি  শুকিয়ে এসেছে বিলাসী ত্বক

 লোমহীন ক্ষয়  ঘিনঘিন  সময়ে জ্যোতি ছাড়া বিম্ব

ডিসেম্বর  আনে যে  ঋতু  ভয়  পেতো তাকে আমার মৃত মা





              







          [ তিন ]

পিকনিকের দিন টিফিনবাক্সে গোটা সংসার ঢুকে যায়

সংসার মানে ওই আমরা কজন 

খুশি,মুক্তি, এলোমেলো  হাওয়া,গরম কফি

বিত্তবান সময় সেসব 

এখন গরীব অন্তর  মেলা হয় মিলনের

 আমিও কিনেছি হটপট

অনেকক্ষণ গরম থাকে সুখের বাক্সগুলো

   



                   

                                              সুদীপ ব্যানার্জী 
                     

                                                 ধণিয়াখালি                       

google.com, pub-4286055196262572, DIRECT, f08c47fec0942fa0

আপেল খান হে প্রভু [APEL KHAN HE PROVU]


ULOT PURAN .COM

personal Blog 

[ thoughts wonderful or not, need to be shared ...and sharing in your own mother-tongue is the best gift that one can have] 

BLOGGER - SUDIP BANERJEE





আপেল খান হে প্রভু

সুদীপ ব্যানার্জী

       




 

ছিন্ন করে দাও সব বেড়া
আমার চতুর্ভুজ অস্তিত্বে
উড়ন্ত কিছু সীগালের ওঠানামা
বরদাস্ত করবো না জাঁহাপনা

             #

 গ্রেটার করিডরের মনোপলি
 আর পাশের বিল্ডিং এর ডলিকে চিঠি লেখার আগে
 পার্বত্য এলাকা থেকে তুলে আনবো
 কিছু রঙীন মস,প্রজাপতি আর রডোডেনড্রনের রেকমেন্ডেশন


           #

অযথা পাশবালিশে দু পা জড়িয়ে
কিশোর স্বপ্নে  ভুগবো না
শুধু আকাশের দিকে তাকিয়ে
ভ্যাবলা হয়ে ঘুমিয়ে পড়বো কাঁথাস্টিচের বেদনা ভুলতে



         #

চাহিদার দেশে  চেয়ার যে  রিভল্ভিং
গুস্তাকি মাফ হুজুরে-আলা
মধুশালায় এ পরিবর্তন
 সব চেনা সম্রাটেরই কুদরতি করিশ্মা
ন্যাচারাল...খ্যাপায় না...


        #

 কচকচ করে আপেল খান হে রাজন
 শশার গতরে কামড় বসান চুপচাপ
কোনও দপ্তরী ফুটনোটে লিখে রাখবে না
 আপনার সাথে শোওয়া শরীরদের নাম

        #


.আপনি শুধু আম খান
আঁটি গুনবেন না প্রভু

মোসাহেবির কসম,সে দায়িত্ব আমজনতার...




 

 TO READ MORE ...VISIT THE BLOG LINKS

                                                    

google.com, pub-4286055196262572, DIRECT, f08c47fec0942fa0

উল্টে যাওয়ার কিস্যা [ulte jaoar kissa]



             উল্টে যাওয়ার কিস্যা... 

                    সুদীপ ব্যানার্জী







         দুপুরের আয়োজন নামলে এপার থেকে কেমন ঝরে পড়ে ক্যালাইডোস্কোপিক ঝরণার সাথে অফিস,স্কুলবাস,পাঁচতলা শপিং মল ...আইনক্সের ২২ ডিগ্রির আদর।এই যে উল্টে যাওয়া --- বেলা শেষ হওয়ার দিকে ঝুঁকতেই এই যে ছায়া শুরুর আগেই কালারফুল হওয়া---- চাওয়াপাওয়ার পাতি সূর্যমুখীর প্রমোদিয়া খাটি ভেষজ বর্ণালীর বে-নী-আ-স-হ-ক-লার জামদানি ---চোখ নিশপিশ দূরত্বে খানিকটা খামচে নেওয়া আলো  এ ,বেঁচেবর্তে  থাকার গা বাঁচানো আমোদ---- গৃহবাসীর অকাতর এপেটাইট।



    আপাতত মোমবাতি কিনছে জোনাকীর দল ...পশ্চিমে ডুব মেরেছে যেটা আপাত দৃষ্টিতে তাকে স্বচ্ছতা মনে হতেই পারে...তবু  অলৌকিক আলো অন হয়  এসময়..

      মশালের গল্প বলছিনা... অলিম্পিক কুলীন ...ছুটে চলে পেশীবহুল প্লেয়ারি জোয়ারে...জ্বলে ওঠে গর্বের সিক্যুয়ালে...ফেলে আসা বিদ্রোহী গন্ধটি প্রেডিকেট...ওয়াইল্ড-স্টোনের ম্যাচো লুক ... অপরূপ তান ইহজীবনের।তাই সিনোরিটা,গীতা কি সৌগন্ধ, দহলিজে যে প্রদীপের তাপ নিতে ছুটে আসতো রেভোলিউশন,ইলিউশন ,শ্যামাপোকা... আজ হোথা এ ল ই ডি জ্বেলেছি যত্নের ...পরপুরুষের রুমালের মতো দিবানা...

         ফুটপাথে মিছিল...একদল প্রগতির সন্তান...দাও ফিরে সে অরণ্যের স্লোগান ...ঝটিতি শেয়ারে কেয়ারি করা বেগনভোলিয়াঘেরা রিসর্টের ফোমমাখা নরম আদরের চেয়েও সোহাগি...কস্টলি...মোমবাতির দাম তবু বাড়েনা...প্রতিবাদী দামী হাত...ম্যানিকিওর প্যাডিকিওরের মতো ঝকঝকে...দরদামে ঠকেনা...

       রাত গ্রীষ্মের ...গভীর মশারি অন্ধকার...পাতলা সচেতন ফ্যানের ব্লেডে ধাক্কা খেয়ে জ্বলছে  নিভছে রুফটপ...জোনাকির কাটা লাশ...সবুজাভ আলো ওড়বার...





google.com, pub-4286055196262572, DIRECT, f08c47fec0942fa0

ইচ্ছে করে একটা দিন কাটাই কবির সাথে (icchhe kore ekta din katai kobir sathe)





ইচ্ছে করে একটা দিন কাটাই কবির সাথে
----------------------------------------------------------
সুদীপ ব্যানার্জী

চিত্র ঋণ  - ঐশ্বর্য কর





 ইচ্ছে করে সারাটা দিন কাটাবো এক কবির সাথে।কবিতার সাথে দিন কাটাচ্ছি ...তা প্রায় কথা শেখার শুরুর দিন ইস্তক...  চ্যাপ্টারের পর চ্যাপ্টার ... পাতা উল্টোই সুর্য ডোবাওঠার  সাথেই...

                             #

যেদিন অতীত ,বর্তমান বা ভবিষ্যত উস্কে দেয় কল্পনার সিঁদুরকৌ্টো...ছন্দ অপছন্দের গাঁটছড়া বাঁধা পড়ে শব্দের সাথে ... আন্দাজে এক কবির ছবি ভেসে ওঠে  ভাঙাচোরা মনদালানে.. কিন্তু .ছুঁতে পারিনা...

                            #






     এই সেদিনও  সামনের বাড়ির গাছে এক ছোট ,নীলচে পাখি দেখতাম।রোদের গতর বাড়ন্ত হওয়ার আগে কী আশ্চর্য সুরে ডেকে উঠতো সে।প্রথম প্রথম ভাবতাম কবি বোধহয় এরমই।দিনের আলোর যৌবন আর তার রোমাঞ্চের  মাঝে একটুকরো অবাক  নিঃশ্বাস জীবিতের...।সারাদিন কাটিয়েছি ওকে দেখে।দিনের শেষে ওও তো ফিরে গেল বাড়ি।কবির  বাড়ি হয়?ঈশ্বরের বাড়ি লাগে ...কিন্তু কবি বাড়ি ফিরে গেলে রাত কাটবে কিসের ছটায়? ...

                          #

যে কবিতার পাশে রোজ শুই ,ঘুমাই ,প্রশ্ন করি তাকে ,'তোমার সেই কবি মানুষটি কেমন?না কি মানুষই নয়?'...সে উত্তর দেয়না ...মুচকে হেসে ওঠে...সে হাসি হাজার চুনির রহস্য...পান্নার সবুজাভ রাতবাতি...মাঝে মাঝে কবিতা আড় ভাঙে ...সে আড় ভাঙা সদ্যোজাত শিশুর চোখ  চাওয়া,বিশুদ্ধ..










                       #

 মাঝে মাঝে চঞ্চল কবিতা টুকটুকে ঠোঁট কামড়ে উজাড় করে নদীর সব ঢেউ...সাক্ষাত ভেনাস ...অভিমানী সুর 'এতো প্রশ্ন কেন?তুমি কী কিছুই বোঝনা?'...এ হেঁয়ালির আর উত্তর দিই কী?তখন যে প্রতিটি লাইন ধরে কবিকে খুঁজছি..।

                         #

এই জার্নিতে কবিতা ধরা দিচ্ছে...একেকটা অক্ষর মিশে যাচ্ছে চামড়ার প্রতিটি রোঁয়ায়...তবু  কবিকে পাচ্ছিনা।জানিস,খুব ইচ্ছে করে একটা গোটা দিন কাটাই কবির সাথে...


                                 



সুদীপ ব্যানার্জী

google.com, pub-4286055196262572, DIRECT, f08c47fec0942fa0

উইন্ডোশপিং --- window-shopping [a bengali prose]

 

                                  উইন্ডোশপিং

                                       *******************************

   


          কিছুদিন হল বেড়াতে যাওয়ার ইচ্ছা বেশ জাঁকিয়ে বসেছে।অনেকটা সেই শীত ডিসেম্বরের মেঘলা ছেলেবেলা... মালভূমির কুয়াশায় সাততাড়াতাড়ি  কম্বলজড়ানো আদর... ঘরোয়া ওমের আরামের মতো।আদরের কথা উঠলো যখন তখন একটু হাসি মাখামাখি... চুমু খাওয়া খাওয়ি --- ওয়েদারকে ব্লেম করে ,উষ্ণ হয়ে সাবালক হয়ে ওঠার গল্প--- এসব তো আসবেই... অফিস ছুটির মতোই... সন্ধ্যে হলেই।


                   এখন এই অন্ধকারে,এখন এই ত্রিফলা আলোয়,এখন মলের ঝলমলে,কফিশপের আলতো সিপে,নন্দনের  উদ্বোধনে, দেখার কার্টেন রেইসারে ---হাওয়া মেখে বেচে যাওয়া চাখি বেড়ে ওঠা শরতের কাশ,বসন্তের লালচে পলাশ...ডিসেম্বরের  টোবা টোবা চেরী...অঞ্জনের বো-ব্যারাক...স্বপ্নের উইন্ডোশপিং... গালগল্পের মতো ট্যুর অফা্রের...



                  টিভি চালাতেই প্রিয় সিরিয়ালে দুইজোড়া চোখ...স্ক্রিনে আমাদের শুভ দৃষ্টি... ম্যালের উলটো দিকে নির্জনে হাত ধরাধরি ...  পাশে উচ্চতা চাহিদার চেয়েও বিশাল -- আরেকদিকে খাদ---গভীর ... অস্তিত্বের মাপকাঠি --- নেমে গেছে সমতল ছাড়িয়ে বদ্বীপের সীমাবদ্ধ তেকোনা সোসাইটির নির্লোম বাহুমূল অব্দি।আস্তে চেপে ধরছি  হাত... আলগাই...তবু এখনও ছুঁয়ে আছো সেই সেলফির মতো--- এখনও যার প্রিন্ট নেওয়া হয়নি।আলসেমি বলতে পারো...আসলে টাটকা ঐ অনুভূতি ডিলিট করতে চায়নি। পাহাড়,মাঝে বাগান...ফুল ফুটেছে অচেনা গন্ধ আর রঙের জীবন্ত মোজাইকে...ব্যাকগ্রাউন্ডে নেপালি গান আর বাঁশি ...বড্ড বেমানান আমরা ক্যাজুয়াল মিডলক্লাস দম্পতি...সেই অচেনা জোড়ায় জোড়ায় একাকীত্ব,একপাশে মাঝবয়সী কাপল কলকাতার...লন্ডনের বা সিনসিনাটির ...জানিনা ...ইন্টারন্যাশানাল...আরেকপাশে কলেজকাটা কিশোর-কিশোরী...চ্যাপ্টা নাক...ফর্সা লালচে গাল...আমাদের প্রতিচ্ছবি --- একটু শর্ট...সাইজে...এই যা।চেনা চৌহদ্দির চেয়ে ঐ পাহাড়িয়া সময়কেই চিনতে পারা সহজ --- নিজেদের মতো করে ।কানে সেই প্রিয় গান -- 'প্রাণ ভরিয়ে,তৃষা হরিয়ে...মোরে আরও আরও দাও প্রাণ'...প্রিয় গায়িকার কন্ঠ...

       আবার বেরিয়ে পড়ার ইচ্ছে জাগছে ...মাঝরাতে ঘুম ভেঙে আবার ঘুমিয়ে যাওয়ার মতো...

     google.com, pub-4286055196262572, DIRECT, f08c47fec0942fa0     

গন্ধগোকুল (GONDHO GOKUL - A BENGALI SHORT STORY)





গন্ধগোকুল


সুদীপ ব্যানার্জী










ভাবছিলাম রাস্তার ওপারের বাড়িটির কথা।এই নয় যে আজই প্রথম চোখে পড়লো।রোজই জানলার দিকে তাকালে ঐ ফ্যাকাশে দেওয়াল আর জানলার ধুয়ে যাওয়া শ্যাওলাটে পাল্লাগুলো স্থিরচিত্রের মতো তাকিয়ে থাকে।আমারই দেখা হয়নি হয়তো।এ পাড়ায় দুমাস হল।বেলঘরিয়ার এদিকটা এখনও পুরোদস্তুর শহর হয়ে ওঠেনি।কালীতলা বাজার ছাড়িয়ে একটু এগোলেই পুকুরের পর পুকুর।নারকেল গাছের সারি।বড্ড ঘিঞ্জি এলাকা।সরু সিমেন্টের রাস্তা ধরে এগোলেই ঝকঝকে দিল্লীরোড।একটু হেঁটে গেলেই মাটির স্লোপ,শর্টকাটে বরাহনগর স্টেশণ।আর নীচে নামলেই ব্যস্ত ডানলপ ।একদম আলাদা ।এই কন্ট্রাস্ট ---কেন জানিনা নেশা জাগায়।ঠিক এই মুহূর্তে যেমন জানলার ডানদিকের নতুন হাইরাইজের ওয়েদারকোটের গন্ধ আর ফ্যাকাশে বাড়িটার বুনো গন্ধ কেমন ধোঁয়াটে করে দিচ্ছে চিন্তাভাবনার রোজকার সাধারণ গতিকে।মিলি বলতো , 'ভালবাসার মানুষের গায়ের গন্ধ  চোখ বুজলেই চেনা যায় '।খুব হেসেছিলাম ওর ঘ্রাণশক্তির গল্প শুনে।রাস্তার পাশে দেশি কুকুরের বাচ্চাটা ডাস্টবিনের কাছে কি একটা করছিলো।জানলায় আমাকে দেখে, কি জানে কেন,এসে তাকাচ্ছে আমার দিকে।আমি কিন্তু কুকুর একদম পছন্দ করিনা।


    ইদানিং প্রায়ই গন্ধটা আমি পাচ্ছি।বিশেষ করে অফিস বেরোনোর আগে আর অফিস থেকে ফিরে ফেসবুক খুটুর খুটুর করতে গিয়ে।বুনো,শ্যাওলাটে -- কিন্তু বেশ চেনা।এক কলিগকে বলতেই একচোট হেসে ,ইনিয়ে বিনিয়ে যা বললো তার সারার্থ --ইমিডিয়েট বিয়ে না করলে এ ব্যধি বাড়বে ।মিলিকে বলেছি কথাটা --- প্যাকেটের শেষ বাদামের টুকরো মুখে ফেলে ও হেসে গভীর ভাবে তাকালো আমার দিকে।তারপর বালিব্রিজের আলোগুলোর দিকে তাকিয়ে রইলো গম্ভীরভাবে।আবার আমি সেই বুনো,শ্যাওলাটে গন্ধে বুঁদ হয়ে গেলাম।




   জানলার দিকে আজ ছুটে যেতে হল। যদিও ঘড়িতে ৯টা ১০।সকালে মিলি কল করেছে।তারপর কিছুটা অন্যমনস্ক হয়ে এপাশ ওপাশ করতেই স্নানের সময়।জামা পরে বডি-স্প্রে লাগাতো যাবো ,খেয়াল পড়লো --- আজ সকাল থেকেই বুনো,শ্যাওলাটে গন্ধ আর পাচ্ছি না।জানলার কাছে ছুটলাম।আরে...কারা যেন বাড়িটার গায়ে বাঁশের ভাড়া লাগিয়ে দেওয়াল ঘষাঘষি ,মোছামোছি করছে...এক বয়স্ক ভদ্রলোক নির্দেশ দিচ্ছেন কয়েকজনকে...পাশে ওয়েদার কোটের বালতি।আর দাঁড়ালাম না।অফিস থেকে ফিরে মিলিদের বাড়ি যেতে হবে...মিলির মা আজ ডিনারে ডেকেছেন...

     


   

google.com, pub-4286055196262572, DIRECT, f08c47fec0942fa0

      

মধুর সে লগন (modhur se logon)

মধুর সে লগন °°°°°°°°°°°°°°°°°° সুদীপ ব্যানার্জী


 সেও এক শ্রাবণদিন।আমরা তখন এইট বা নাইনে পড়ি।সকাল থেকেই প্রচন্ড উত্তেজনা।ড্রইং খাতায় জাতীয় পতাকা আগের দিনই আঁকা কমপ্লিট।কঞ্চিতে আঠা লাগিয়ে পতাকার সেঁটে ফেলাও শেষ।খালি আকাশ বেশ গোলমাল শুরু করেছে।মাঝেমাঝেই কয়েক পশলা বৃষ্টি। ও হ্যাঁ,বলতে ভুলে গেছি --- দিনটা ছিল ১৫ ই আগস্ট। অন্যান্য বছরের থেকে একটু স্পেশাল । স্বাধীনতার পঞ্চাশবছর পূর্তি। তাই বয়েজস্কুল থেকে র‍্যালি বেরোবে।স্যারেরা বারবার বলে দিয়েছেন পতাকা বানিয়ে আনার কথা।আমার পতাকা রেডি।সেই বিখ্যাত সাদাজামা খাঁকি প্যান্ট পরে বুট গলাচ্ছি। দীপঙ্কর মিত্র স্যারের উদ্যোগে তখন বুট পরা মাস্ট।নীচে সাইকেলের ক্রিং ক্রিং আর "সুমনু...সুমনু" ডাক।গুবলু (সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় মানে শিল্পী রাণাদার খুড়তুতো ভাই)এসে গেছে।ও আমার পুরোনোপাড়ার বন্ধু ---সেই ক্লাস ওয়ান থেকেই।এই পুরনোপাড়ার কথা আর শ্রাবণমাসের প্রসঙ্গ এলেই মনে পড়ে যায় শিবমন্দিরের মাঠে ভিজে ভিজে ফুটবল খেলার কথা।খোকনদা,রাজাদা,নন্দদা,গণেশদা,চন্দন্দা,লালদা,পাপান,রাহুল... এদের মুখগুলো মনে পড়ে যায়।আর মনে পড়ে বিকাশকাকু,উত্তমকাকু,দিলীপকাকু (ঘোষ বুক স্টোর) এবং আরও অনেকের দ্বারকেশ্বরে শ্রাবণের সোমবার শিবের মাথায় জল ঢালতে যাওয়ার কথা।এখনও কর্মসূত্রে তারকেশ্বরের দিকে যেতে যেতে জল ঢালতে আসা পূণ্যার্থীদের দল দেখি।কিন্তু ছেলেবেলার সে "বোল্ ব্যোম্" ধ্বনির মতো সুর কোথাও শুনতে পাইনা।     সাইকেলে করে দুইবন্ধু স্কুলে ঢুকতেই দেখি স্টেজের সিঁড়ির কাছেই মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে পবিত্র (নামটি পাল্টালাম)।তো এই পবিত্রকে নিয়ে দু-চার কথা না বললে এই স্মৃতিকথা পূর্ণতা পাবে না।ওর বাড়ি ছিল খ্রিস্টানপাড়ায় এবং তখন  সম্ভবতঃ আদ্রার একমাত্র মিউজিকাল ইন্সট্রুমেন্টের দোকানটি ছিল ওদের।কিছুদিন আগেও আমাদের ৯৮' এর মাধ্যমিক হোয়াটসএ্যাপ গ্রুপে গিটারের সাথে ওর গাওয়া অনবদ্য গান শুনেছি।স্কুলজীবনে ও ছিল রীতিমতো একটি ক্যারেক্টার।মোটামুটি পড়া না দেওয়ার জন্য বেশিরভাগ সময়ে রুনু ঘোষ স্যারই হ'ন বা ঘোষাল স্যার...ওকে বেঞ্চের ওপর কান ধরে দাঁড় করিয়ে দিতেন।এই নয় যে ও  পড়া করে আসেনি,কিন্তু পড়া দেওয়ার চেয়ে শাস্তি পাওয়াটাই ও বেশি উপভোগ করতো।দিলীপস্যার উপপাদ্য বোঝালে খুব ছোট করে লিখে রাখতো।জিগ্যেস করলে উত্তর "আবার কে খাটবে?টুকলি রেডি"!!! এ হেন পবিত্র বেঞ্চের ওপর সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারতো না।কয়েক মিনিটের মধ্যে প্রায় দশদিকেই স্থান পরিবর্তন হয়ে যেতো।রসিক চূড়ামণি শ্রদ্ধেয় বিজন সেনগুপ্ত স্যার আদর করে ওর নাম দিয়েছিলেন " ওয়েদার কক্" বা "বাতপতাকা"। বলাইবাহুল্য যে সব স্যারের ক্লাসেই এই আচরণের পরিনতি সুখকর হতো না।এখন পবিত্র বসে আছে মাথায় হাত দিয়ে।" কি রে?কী হল?",বলতে পবিত্রর উত্তর," সব্বোনাশ হয়েছে।পতাকা তৈরী করতে ভুলে গেছিলাম।সকালে উঠে ঘুমচোখে পতাকা রেডি করে স্কুলে আসছি,ভগৎ সিংএর স্ট্যাচুর কাছে এসে দেখি ভারতের পতাকার ওপরে গেরুয়া।"ওর পতাকাটা বের করতে বলায় যা বেরিয়ে এলো আদতে তা নারকেল ঝাঁটার কাঠিতে এক টুকরো কাগজ ফুঁটো করে লাগানো যার উপরে সবুজ নীচে গেরুয়া।এদিকে সি.আর. পাল স্যার সবার পতাকা চেক করছেন।সে যাত্রা ওকে  উদ্ধার করতে আমি আর গুবলু জাস্ট কাগজটাকে সাবধানে উল্টোদিকে তুলে গেরুয়াকে ওপরে স্থান দিলাম।কিন্তু স্যারের কঞ্চির ঘা থেকে বাঁচানো গ্যালো না।     ৷ র‍্যালি বেরিয়ে পড়েছে লাইন দিয়ে...বেশ কিছুটা দূর অব্দি এগিয়েও গেছি আমরা। চারদিক কাঁপিয়ে চ্যাঁচাচ্ছি "বন্দে মাতরম"," ভারতমাতা কি জয়"...ছাতনামোড়ের কাছে আসতেই ঝমঝমিয়ে নামলো বৃষ্টি।আর যায় কোথায়... একদল গিয়ে ঢুকে পড়লো আশেপাশের দোকানগুলোতে।স্যারেরা কিন্তু ডিসিশন নিলেন র‍্যালি চালিয়ে যাওয়ার।ধরে আনা হল সেই দলছুটদের।বৃষ্টিও চলছে... র‍্যালিও।ভিজে সব একসা।এইসময় হিন্দি মিডিয়ামের কেউ বলে উঠলো "বোল ব্যোম"... আর যায় কোথায়..." বন্দে মাতরম","ভারত মাতা কি জয়" স্লোগান উধাও।সব ছাত্রের মুখেই "বোল ব্যোম" ধ্বণি।স্যারের প্রমাদ গুনলেন।র‍্যালির মুখ ঘুরে গেলো স্কুলের দিকে। স্কুলের কাছাকাছি এসে বৃষ্টিও থেমে এলো।লাইন করে ঢুকে স্টেজের সামনে ক্লাসওয়াইজ দাঁড়িয়ে গেলাম সবাই।ভেতরের গেটে নিমাই জ্যাঠু তালা দিলেন।আর তারপর...ইতিহাস!!! অসিতস্যার একটা ভাঙা বেঞ্চের পায়া নিয়ে এলোপাথাড়ি মার শুরু করলেন।যে যেদিকে পারছে পালাচ্ছে।আমি আর আমার কয়েকজন বন্ধু আশ্রয় নিলাম লাইব্রেরির সামনের বারান্দায়।একটু পরেই বারান্দার সামনে অসিত স্যার।সামনে আমাদের ক্লাসের সোহন কুন্ডু।জিমকরা শরীর।পায়ে স্যার মারতেই বেঞ্চের পায়া দুটুকরো।স্যারের রাগ আরও বেড়ে গেল।লাইব্রেরির বারান্দায় ঢুকে পড়েছেন টুকরো পায়া নিয়েই।এমন সময় সুপ্রতীম (অমল চক্রবর্তী স্যারের ছেলে) বলে উঠলো,"স্যার,এ তো অন্ধকূপ হত্যা হয়ে যাচ্ছে"...সাথে আমার সংযোজন, "আপনাকে জালিয়ানওয়ালাবাগের জেনারেল ডায়ারের মতো লাগছে"... ব্যস...আগুনে ঘি...স্কুলজীবনে করবীপিসি আর সি.আর.পাল স্যারের কাছে ছাড়া মার খাইনি কোনওদিন...সেদিন অসিতস্যারের কাছে যা খেলাম সাতদিন ব্যথা রয়ে গিয়েছিল।   ৷ বাড়ি ফিরলাম।একটু পরে বাবাও বাড়ি ফিরলো।আমি এমন ভাব করে ছিলাম যেন কিছুই হইনি।বাবা হাসতে হাসতে বলে উঠলো " কি বোল ব্যোম? ব্যথা কেমন?"।জানলাম অসিতস্যার গবাইকাকুর (বাসু বুক স্টোর)দোকানের আড্ডায় সব ফাঁস করে দিয়েছেন...

google.com, pub-4286055196262572, DIRECT, f08c47fec0942fa0

হাইওয়ের গানগুলি (highwayer ganguli)

হাইওয়ের গানগুলি ----------*-**-----
.      (১) সহজ নয় হাইওয়ে বরাবর লিখে চলা তন্দুর থেকে শিকে গেঁথে তুলে ফ্যালা রুটির গল্প পোড়াদাগগুলো থেকে খুঁটে নেওয়া চিহ্ন ফেলে দেওয়া বেশী বেশী ভালবাসাবাসির অপরাধ ডিভাইডারে রক্তের দাগ অ্যাক্সিডেন্টের গূঢ় অর্থ শিখছে
   (২) খবর হতে চেয়েছে  যবে থেকে পেপার পড়া ছেড়েছে পেট্রোলপাম্পের পাশের পাড়া তেল-ডিজেলের গন্ধ থামিয়ে ওখানে এখন জুঁই শালীন অশালীন মেঘ হেডলাইটে পূর্ণিমা নামছে থেমে থেমে এরম্ প্রান্তরেই উর্বশী নামে টোলট্যাক্স নিমগ্ন তখনও খুচরো ইশ্বর সন্ধানে ধাবার খাটিয়ায় দেশওয়ালি হাভেলি আজকাল পেট্রোলপাম্পের পাশের পাড়া    এসব খবরই রাখে
ইচ্ছেকথার খোলা ডায়েরি ------------------------------------         (১) ছিঁড়ে দিচ্ছো তো রোজ প্রতিবাদী নুনছাল না হয় গুটিয়েই নিলাম চুপচাপ মেনে শর্ত মাথাতোলার গল্প আরেকটু বুড়ো হোক দেওয়াল লিখনে বুলিয়ে দেবো ঘাটতির ক্যালসিয়াম বল ডাক করতে টেকনিক লাগছে না
    (২) খাড়া পাহাড় বুড়ো হচ্ছে ঘণ ডালপালা।ধুলোয় ভারি পাতার ইচ্ছেরা সরু রাস্তাটি চওড়া হচ্ছে আরও রোদ পড়ে সিঁথি আজও লাল সময়ের সাথে সাথে শুধু কিছু বৃষ্টি ঝরে গ্যাছে     (৩) লম্বা উঁচু টাওয়ারগুলো নিঃশব্দে পেরিয়ে যাব ঝুঁকে যাক রোমান্টিক ব্রিজ মেঘ ছুঁয়ে ফেললো অফুরন্ত বিল্ডিং শুচিবায়ুগ্রস্ত ছায়াপথে এইবার সন্ধ্যাতারা জ্বলুক
                  (৪) কান্না আসে না মৃত্যু শুনতে পেয়ে সল্টেড বাদাম চিবোই একটার পর একটা বেঁচে থাকা মানে এই দানাদানা,মসলাই.... বুকে ছাপা সময়ের লোগো ---"ক্রুকড"।    (৫) ক'টা বাজছে সোনা? বিছানায় মেরুদন্ড ছাড়লাম বেশ হাল্কা লাগছে এ লুঙ্গি ছেড়ে... তোমার দেওয়া পতাকাই লজ্জাবস্ত্র আমার পাব্লিক আর "ব্যাঁকা মদনা" বলছে না


 সুদীপ ব্যানার্জী

google.com, pub-4286055196262572, DIRECT, f08c47fec0942fa0

তিনটি লেখা...